প্রাথমিকের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা। শুধু অভিভাবকেরাই নই ভাঙাচোরা স্কুলে গিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় শিক্ষক থেকে মিড ডে মিলের রান্না তৈরির কর্মীদের। যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। কারণ ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিং। ক্লাস রুমের অবস্থাও একই। ছাদের চাঙড় ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে রড, প্রায়শই একটু একটু করে খসে পড়ে তা। প্রায় আট বছর ধরে এমনই বেহাল অবস্থায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার এই স্কুল।
advertisement
যখন তখন স্কুলের চাঙড় ভেঙে নীচে পড়ছে, তাই ইতিমধ্যেই স্কুলের বেহাল রুম গুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনটি রুমের মধ্যে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন। একটি রুমে একসঙ্গে পাশাপাশি দুটি ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এতে অসহায় বোধ করছেন শিক্ষকেরা। ব্যাঘাত ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায়।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমের গাড়ির সামনে আহত টোটো চালক! মন্ত্রী যা করলেন, অবাক সকলে
জানা গিয়েছে, কালাকড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০৪ জন, শিক্ষক সংখ্যা ৪ জন। ১৯৭৯ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের কংক্রিট বিল্ডিংয়ের বর্তমানে এমনই বেহাল দশা। ক্লাস রুম থেকে অফিস রুম এমনকি স্কুলের বারান্দাতে ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। একটু বিপদ বুঝলে তা খসে পড়ার আগে লাঠি দিয়ে শিক্ষকেরা ছাড়িয়ে ফেলেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, অফিস রুম, মিড ডে মিলের ঘর ও ক্লাস রুমের অবস্থা বেহাল। আলাদা তিনটি ছোট রুম ভালো থাকায় তার মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন। একটি রুমে দুটি ক্লাস হওয়ার কারণের জন্য পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে এবং করোনা বিধি পালনেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি, রবিবারের জন্য বিশেষ সতকর্তা! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস যা বলছে...
অভিভাবক থেকে শিক্ষক, সকলের দাবি, দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পাত্র বলেন, ''প্রত্যেক বছরই অন্যান্য খাতের টাকা নিয়ে তা ব্যয় করতে হয় স্কুল বিল্ডিংয়ের জন্য। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। স্কুল বিল্ডিং মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।'' এখন দেখার কবে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল মেরামতের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।