স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর প্রথম দিনেই এই কর্মসূচি ৭৫৫১১টি কেন্দ্রে পালিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৩০ লক্ষেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই কর্মসূচিতে সরাসরিভাবে অংশগ্রহণ করেছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম দিনেই ৩০,৯৭,৭৬৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পাড়ায় শিক্ষালয়ে অংশগ্রহণ করেছে। যাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাজ্যজুড়ে অংশগ্রহণের সংখ্যাও ছিল উল্লেখযোগ্য। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচিতে প্রথম দিনেই ৩,২০,৭৬২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শান্তিশ্রী ধুলিপুড়ি পণ্ডিত, প্রথম মহিলা উপাচার্য পেল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের কারণে এদিন শুধুমাত্র প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ভাগে ক্লাস করানো গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আগামিকাল থেকে দু'টি ভাগে ক্লাস হলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন শনিবার ছুটি থাকবে। সেই মোতাবেক পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে শুধুমাত্র সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই কর্মসূচি হবে বলে ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলাকে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ইতিমধ্যেই পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প কীভাবে চলবে তা নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। যেখানে ছোট মাঠ হলে ৪০ থেকে ৫০ জন,বড় মাঠ হলে ৮০ থেকে ১০০ জন পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করানো যাবে।
পাশাপাশি যদি কোনও ছাত্রছাত্রীর বাড়ি থেকে স্কুল অনেকটা দূরে হয় তাহলে তার বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে ক্লাস করতে পারবে বলেও নির্দেশিকা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশেও তৈরি হবে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস! ব্লু প্রিন্ট তৈরির নির্দেশ ১৬ সদস্যের কমিটিকে
অন্যদিকে স্কুল চালুর প্রথম দিনে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ভাল সাড়া পেলে ও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতির সংখ্যা হতাশ করেছিল উচ্চ শিক্ষা দপ্তরকে। এ দিন অবশ্য স্কুলে উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে ভাল হলেও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় উপস্থিতির হার প্রথম দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। যদিও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ অনলাইন ক্লাস চালু রাখার জন্য ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আধিকারিকরা।
তবে যেহেতু সোমবার থেকেই পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে ফলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় উপস্থিতির সংখ্যা আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।