প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে বীরভূমের প্রথম রাজ্য সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববাংলা। রায়পুর-সুপুর শিবপুরে ২০ একর জায়গা জুড়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শান্তিনিকেতনে কেন্দ্রীয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় সকলের পড়াশোনার সুযোগ পায় না। জেলায় ছিল না কোনও বিশ্ববিদ্যালয়।ভরসা ছিল একমাত্র বর্ধমান।
advertisement
এরপরেই উন্নত মানের পরিকাঠামোয় সাজানো হয় শ্রেণিকক্ষ, দুটি ছাত্রীনিবাস, ইন্ডোর আউটডোর ছড়াও খেলার মাঠ নির্মাণ। শিক্ষা প্রাঙ্গণে কলা, বিজ্ঞান, প্রশাসনিক কার্যালয়, জাদুঘর, বিশাল লেক, শরীরচর্চার জন্য জিম, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ৬০০ আসনের আম্পি থিয়েটার হলও গড়ে উঠেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলা ও টেগোর স্টাডি, সংস্কৃত এবং ভারতবিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও হিসাববিজ্ঞান-সহ একাধিক বিষয়ে পড়ুয়াদের থেকে ভালো সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুধু এ জেলা বা রাজ্য নয়, এপার বাংলা ও ওপার বাংলা ভিনদেশ থেকেও পড়ুয়ারা ভর্তি হতে আগ্রহী।
অন্যদিকে, অনুমোদন মিলতে চলেছে সাঁওতালি ও উপজাতি অধ্যায়ন, দর্শন এবং বৌদ্ধ অধ্যায়ন, আইন ও বিচারবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা ও গণ যোগাযোগ, পরিবেশ সমাজ এবং শাসন ব্যবস্থা, কৃষি ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান, পর্যটন এবং ঐতিহ্য-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। ফলে নতুন করে প্রায় সাতশো পড়ুয়ার পঠন-পাঠনের সুযোগও তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের পাঠদান করছেন ৪৮ জন অস্থায়ী অধ্যাপক-অধ্যাপিকা।
তাঁর মধ্যে মোট ১৬ জন গেস্ট ফ্যাকাল্টি এবং ৫৪ জন গেস্ট লেকচারার। অন্যান্য কলেজ থেকে ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ক্লাস নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্থায়ী নিয়োগেরও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জেলার ১৬টি কলেজ এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসতে চলেছে। এর ফলে ছাত্র ছাত্রীদের আগের থেকে অনেকটাই বেশি সুবিধা মিলবে বলে মনে করছেন সকলে।
সৌভিক রায়