প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এই সাফল্য নিয়ে পিয়াসা মহলদার বলেন, "প্রথমে দেড় বছর শান্তিপুরের একটি কেজি স্কুলে আমি ভর্তি হই। সেখানে ক্লাস করার মতো পরিকাঠামো ছিল না। তারপর সেই স্কুল ছেড়ে দিয়ে স্থানীয় আমড়াতলা গার্লস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করি। এরপর শান্তিপুরের রাধারানী নারী শিক্ষা মন্দির থেকে ফাইভ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করি। তারপর শান্তিপুর কলেজ থেকে স্নাতক হই। এরপর কৃষ্ণনগর গভমেন্ট কলেজ থেকে বাংলায় এমএ পাস করি। এরপর প্রথম নেট পরীক্ষায় বসে, ৯৯.৩১ শতাংশ নম্বর পাই। আমি নিজে থেকে কিছুই করতে পারিনা। আমার সমস্ত কাজকর্মই করে দেন মা বাবা ও ভাই। নেটে পাস করার দরুন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবো, এতেই আমি খুশি।"
advertisement
যাবতীয় শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পিয়াসার এই নজিরবিহীন সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলেই। বাবা উত্তম মহলদার কলকাতা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত। মা সুপ্রিয়া মহলদার গৃহবধূ এবং ভাই প্রত্যুষ মহালদার বিএসসি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পিয়াসার সাফল্য ঘিরে উৎসবের আমেজ গোটা পরিবারে। খুশি পাড়া প্রতিবেশীরাও।
রঞ্জিত সরকার