২৮ মে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে দেশের প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী আসেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর হরিপুর ময়দানে সভা করতে। সভার শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা আগে সভা মঞ্চের একেবারে সামনের সারিতে বসার জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন হরিপুর বারো নম্বর কালভার্ট এলাকার প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রী দেবযানী ঘোষ। কিন্তু সেই ছবি যে পৌঁছে যাবে দিল্লির দরবারে তা যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তখন।
advertisement
এরপরই সভামঞ্চে উপস্থিত হয়ে ভাষণের মাঝেই নরেন্দ্র মোদির নজর যায়, দর্শক আসনে বসে থাকা মানুষদের মাঝে তাঁর ছবির দিকে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজির আধিকারিককে নির্দেশ দেন ছবিগুলি নিয়ে আসার জন্য। প্রধানমন্ত্রী সভামঞ্চে দাঁড়িয়েই জানিয়েছিলেন, ছবির পিছনে নাম ঠিকানা লিখে দিতে। যাতে এই ছাত্রীদের চিঠি পাঠাতে পারেন তিনি। সেই ঘটনার প্রায় তিন মাস পর বাড়িতে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রী চিঠি।
আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে বিরাট মোড়! পলিগ্রাফেও মিথ্যা বলেছে সঞ্জয়? এবার যা করবে সিবিআই, সব সত্যির অপেক্ষা
যা দেখে রীতিমতো অবাক পরিবারের সকলে। কোটি কোটি মানুষের মাঝে সাধারণ এই ছাত্রীকে প্রধানমন্ত্রী এভাবে মনে রেখে চিঠি পাঠানোয় যেন আপ্লুত গোটা ঘোষ পরিবার। ছাত্রীর বাবা দেবাশিস ঘোষ জানান, যত্ন করে রেখে দেবেন এই স্মৃতি। প্রধানমন্ত্রীর চিঠি আসায় তাঁরা যেন অবাক। ঠিক একইভাবে হাবরা হাটথুবা এলাকার দাম পরিবারের সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে সিন্ধুজার কাছেও এল দেশের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা-সহ চিঠি। হরিপুরের নরেন্দ্র মোদির জনসভায় বাবা দেবজ্যোতি দাম ও মা পৌলোমীর সঙ্গে হাজির হয়েছিল ছোট্ট সিন্ধুজাও।
হাতে ছিল মোদির ছবি এবং একটি শাল। এসপিজির আধিকারিকদের হাতে সেই সাল এবং মোদির ছবি তুলে দিয়েছিল ছোট্ট মেয়ে সিন্ধুজাও। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যোগাযোগ করে সঠিক ঠিকানা নিয়ে এসে পৌঁছল প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা-সহ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে শংসাপত্র চিঠি। খুশি সাড়ে তিন বছরের সিন্ধুজা দামও। তাঁর বাবা-মাও জানালেন মোদিজি যে এভাবে এত ব্যস্ততার মাঝেও, মনে রেখে ছোট্ট মেয়েকে চিঠি লিখবেন তা যেন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তাঁরা। তাই প্রধানমন্ত্রীকেও এদিন ধন্যবাদ জানাল দাম পরিবার। এলাকার মানুষজনও এখন প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো এই চিঠি দেখতে আসছেন তাঁদের বাড়িতে।
Rudra Narayan Roy





