এগুলোর ভবিষ্যতও যথেষ্ট উজ্জ্বল, থাকে বিদেশযাত্রার সুযোগও। উপার্জনের দিক থেকে কোনও সমস্যা হয় না শিক্ষার্থীদের, একই সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ জীবিকা সমাজেও সম্মান এনে দেয়। এই সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জয়পুরের IIHMR বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দিন ধরেই বিখ্যাত।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কেরিয়ার গড়ার জন্য জয়পুরের IIHMR বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকটি এক্সিকিউটিভ এবং গবেষণা প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ হেলথকেয়ার ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসেন।
advertisement
রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং পঞ্জাব থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী নতুন সেশনে শুরু হওয়া পিএইচডি প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. পিআর সোদানির মতে, এই প্রোগ্রামে মহিলাদের অংশগ্রহণ ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে।
গবেষণা একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম পায় –
এখানে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, এইচসিএল ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে গবেষণা করার সুযোগ পায়। এই কারণে, বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এখানে গবেষণার জন্য আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স অফ পাবলিক হেলথ, হাসপাতাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট, এমবিএ সিএসআর এবং ইএসজি ম্যানেজমেন্টের মতো প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে, যার জন্য আবেদন করা যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতেই পড়াশোনা –
আইআইএইচএমআর বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৪০ বছর ধরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত করেছে। এক্সিকিউটিভ প্রোগ্রামগুলি এখানে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ফর্মেই পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, স্বাস্থ্যসেবা ভারতের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র, তাই এখানকার প্রোগ্রামগুলি সেই অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে।
ভর্তির জন্য যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়া –
আইআইএইচএমআর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর সহ যে কোনও বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন। সংরক্ষিত বিভাগের জন্য এই সীমা ৪৫ শতাংশ। যদি কোনও শিক্ষার্থীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকে, তাহলে স্নাতকে ন্যূনতম নম্বরের শর্ত প্রযোজ্য নয়। আরও তথ্যের জন্য, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://iihmr.edu.in/-এ যোগাযোগ করতে পারেন।