জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তাই প্রথম কোন দিকটায় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য় রাখা জরুরি?
এমনিতেই সিলেবাস অনেকটা কমানো হয়েছে। নতুন সিলেবাস সহজ। ত্রিকোণমিতি, স্ট্য়াটিসটিক্স নেই। কঠিন জায়গা তো বাদই হয়ে গেল। ফলে অনুশীলন করলে আর অসুবিধার কিছু নেই।
এতদিন পড়ুয়ারা অতিমারি পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাড়িতেই ছিল। ক্লাসও করেছে অনলাইনে। তাতে কি সমস্যা হতে পারে?
advertisement
উত্তর: একটু ঘাটতি তো আছেই। পড়াশোনার ধরন কিছুটা তো বদলেছে। অনেক স্কুল অনলাইন ক্লাস করিয়েছে। অনেক স্কুল আবার তাও করাতে পারেনি। সেটা পরিকাঠামোগত কারণে। অনেক পড়ুয়া স্মার্ট ফোন না থাকার কারণে পড়াশোনা করতে পারেনি। অফলাইন ক্লাস বিশেষ হয়নি। যেটুকু হয়েছে তা একেবারেই অপ্রতুল। তবু আশা করব কোনও সমস্য়া হবে না। নিশ্চয়ই ওরা বাড়িতে পড়াশোনা করেছে। ভাল ফলও করবে।
আরও পড়ুন: সিলেবাস কম, তাই সবটাই খুঁটিয়ে পড়তে হবে, ভৌত বিজ্ঞান নিয়ে পরামর্শ শিক্ষিকা সৌমিতার
অঙ্কের ক্ষেত্রে তো একটু ভয় থাকে। পড়ুয়াদের সেই ভয় কাটাতে কী বলতে চান...
আমি একেবারেই টপিক ধরে বলছি।
যেমন, পাটিগণিতে সরল সুদকষা, চক্রবৃদ্ধি সুদ, অংশীদারি কারবার- এগুলো সহজ জায়গা। এখান থেকে নম্বর তোলা সহজ।
উপাপাদ্য়ের ক্ষেত্রে বলব, (১) কোনও বৃত্তের একই বৃত্তচাপের উপর অবস্থিত কেন্দ্রস্থ কোণ পরিধিস্থ বা বৃত্তস্ত কোণের দ্বিগুণ। (২) দুটি বৃত্ত পরস্পরকে স্পর্শ করলে স্পর্শবিন্দু আর বৃত্তদুটির কেন্দ্র সমরেখ হয়। (৩) বৃত্তস্থ চতুর্ভুজের বিপরীত কোণগুলি পরস্পর সম্পূরক। (৪) কোনও সমকোণী ত্রিভুজের সমকৌণিক বিন্দু থেকে অতিভুজের উপর লম্ব অঙ্কন করলে লম্বের উভয় দিকে যে দুটি ত্রিভুজ উত্পন্ন হয়, তারা মূল ত্রিভুজের সঙ্গে সদৃশ এবং নিজেরা সদৃশ।
সম্পাদ্য়ের ক্ষেত্রে (১) ত্রিভুজের পরিবৃত্ত অঙ্কন (২) কোনও বৃ্ত্তের উপরিস্থিত বিন্দুতে বা বৃত্তের বহিস্থ বিন্দু থেকে স্পর্শক অঙ্কন (৩) অন্তর্বৃত্ত অঙ্কন।
বীজগণিতে সমীকরণ-সমাধান আছে। বই থেকে অভ্য়াস করলে একটা সমাধান পেয়ে যেতে পারে। আরেকটি আছে সমীকরণ গঠন করে সমাধান। দ্বিঘাত সমীকরণের বীজসংক্রান্ত আরেকটি প্রশ্ন থাকে। সমীকরণ-সমাধান বা সমীকরণ গঠন করে সমাধান এতটা পর্যন্ত পড়লে আশা করা যায় কমন পাবে। এরপরে থাকে সমানুপাত, ব্য়স্তানুপাত আর ভেদ। অনুপাতের ধারণা ওরা অনেক ছোট থেকে পেয়েছে, তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এরপরে থাকে করণী। এটা অনেক ছাত্রছাত্রীর পছন্দের। বইয়ের অঙ্ক ভাল করে পড়লেই সমস্য়া হবে না।
ত্রিকোণমিতি ও স্ট্য়াটিসটিক্সের যে নম্বরগুলি বাদ গিয়েছে, সেগুলি পরিমিতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্য়ে সমকোণী চৌপল বা আয়তঘন, গোলক-অর্ধগোলক, লম্ব বৃত্তাকার চোঙ, লম্ব বৃত্তাকার শঙ্কু রয়েছে। আয়তঘন থেকে একটা প্রশ্ন আসতে পারে। ছোট-প্রশ্ন, সত্য়-মিথ্য়া ভাল করে করতে হবে।
পড়ুয়ারা আত্মবিশ্বাসী হবে এমন কিছু বলবেন?
এখন তো পার্ট মার্কিং আছে। মানে যেটুকু ঠিক করেছে, সেটুকুর উপর নম্বর। সব সময় পড়ুয়াদের কথা ভেবেই খুব সরলভাবে খাতা দেখা হয়। তাই আত্মবিশ্বাস হারানোর প্রয়োজন নেই। প্রচলিত টেস্ট পেপার থেকে অনুশীলন করলেই অঙ্ক পারার কথা।
অভিভাবকদের কী বলবেন?
উত্তর: আপনারা একটু ছেলেমেয়েদের সাহস জোগান। নজররাখুন যেন সবকিছু সঠিকভাবে করে। ওদের শরীর সুস্থ থাকাও খুব জরুরি।