কাঠের তৈরি একাধিক রকম উপকরণ সামগ্রী থেকে কাঠ পুতুল, মুখা, লক্ষ্মী পেঁচা ইত্যাদি একাধিক রকম কাঠ সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে স্কুলের পড়ুয়াদের। এমন প্রশিক্ষণের ফলে পড়ুয়ারা নিজেদের শিল্পকর্ম বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন। উপার্জনের সেই টাকায় নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেরাই চালাতে পারবে বলে অভিমত সৈকত বাবুর।
আরও পড়ুন: আলু চাষে যুগান্তকারী পদক্ষেপ মালদহের চাষির! নিজেই তৈরি করলেন ২৬ প্রজাতির বীজ, রয়েছে বিশেষ বিশেষত্ব
advertisement
মালদহের ওই সহকারী শিক্ষক সৈকত চৌধুরী জানান, “বাল্যকালে স্কুল জীবনে এই হাতের কাজ শিখেছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি কীভাবে অর্থ উপার্জন করে এগিয়ে যাওয়া যায় তা অন্যতম বিকল্প হচ্ছে হস্তশিল্প। এই কাজে পড়ুয়ারা বাড়িতে বসে নিজেদের কাঠের একাধিক রকম উপকরণ তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। পড়ুয়ারা আগ্রহী থাকায় তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবছরই কলা উৎসবে পড়ুয়ারা তাঁদের হাতের তৈরি একাধিক রকম উপকরণ তৈরি করে প্রদর্শনীতে নিয়ে যান।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতয়ালি এলাকার বাসিন্দা সৈকত চৌধুরী। পুরাতন মালদহের ভাবুক রাম মার্ডি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক তিনি। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার পড়ুয়াদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে নিরলস প্রয়াস করে চলেছেন সৈকতবাবু। যদিও হস্তশিল্পের কোনও ক্লাস রুটিন স্কুলে নেই। এই রুটিনের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে তিনি হাতের কাজের শিক্ষা দিয়ে চলেছেন পড়ুয়াদের। এমনকী ছুটির দিনে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসেও চলে শিক্ষাদান। তাঁর ছাত্রছাত্রীরা হাতের কাজে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।




