প্রসঙ্গত, পরীক্ষা শুরুর আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশ্নপত্র যাতে বেরিয়ে না যায় তার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায়। যদিও পরে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লক্ষের সামান্য বেশি ছিল। যদিও রাজ্যের একাধিক স্কুলে যত সংখ্যক পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিল পরীক্ষার জন্য কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি বলেই সূত্রের খবর। যদিও কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সেই নিয়ে অবশ্য পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রকাশিত বিহার বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল, ৯৬.৪% নম্বর পেয়ে কলাবিভাগে প্রথম সঙ্গম রাজ
পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, "যে দিন ফল প্রকাশ হবে সে দিনই আপনারা জানতে পারবেন কত পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।"এ দিকে, এ বছর যাতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন সময় নষ্ট না করে নির্দিষ্ট সময়ে মূল্যায়ন করে দেওয়া হয় সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে কীভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন হবে তারও গাইড লাইন দেওয়া হচ্ছে। দু'বছর পর করোনা পরিস্থিতিতে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তার জন্য একাধিক গাইডলাইন দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এ দিন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, "পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি।" যদিও মাধ্যমিকের ইতিহাস প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছিল বলে একাংশ অভিযোগ তুলেছিল। এ দিন অবশ্য পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় তা খারিজ করে দিয়েছেন।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়