তৃষার এই নজর কাড়া ফলে খুশির হাওয়া বিদ্যালয় থেকে বাড়ি, সর্বত্রই। স্কুলের শিক্ষকেরা বরাবরই ভীষণভাবে তৃষার পাশে থেকেছেন বলে জানিয়েছেন তৃষার বাবা-মা। সন্তানের এহেন সাফল্যে গর্বিত তারাও। তৃষার বাবা শুভেন্দু ঘোষাল পেশায় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেয়ের এই সাফল্যে তিনি জানান, ” আমি খুবই আনন্দিত। মেয়ে অনেক কষ্ট করে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এই ফল করেছে। সারাজীবন ওর পাশে থাকব। ওর বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও অনেক সাহায্য করেছেন। আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব ভাল নয়। সরকারের কাছে অনুরোধ যেন তৃষা সাহায্য পায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে।”
advertisement
মাধ্যমিকে মেয়ের ভাল ফলাফলে খুশি মা আনন্দময়ী ঘোষালও। কান্না ধরা গলায় তিনি জানিয়েছেন, ছোট থেকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তৃষাকে মানুষ করেছেন তাঁরা। আজ সেই মেয়ের জন্যই তাঁরা গর্বিত।
পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাতেও পারদর্শী তৃষা। ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসে। বর্তমানে বেশ কিছুজন কে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণও দেয় তৃষা। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮১ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করেছে সোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ছাত্রী। বাংলা,ইংরেজি এবং ভূগোলে যথাক্রমে ৯৪, ৯৩ এবং ৯০ পেয়েছে তৃষা। ইতিহাস ও জীবন বিজ্ঞানে তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৭। আগামীতে মেয়েকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান কাটোয়ার সুদপুর গ্রামের শুভেন্দু ঘোষাল ও আনন্দময়ী ঘোষাল। ইচ্ছে থাকলে যে সবকিছু করা সম্ভব তার অন্যতম উদাহরণ কাটোয়ার তৃষা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী