মালদহে সম্ভব্য প্রথম হয়েছে এই স্কুল থেকেই। সাহাবুদ্দিন আলির প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। এমন নজরকাড়া ফলাফলে খুশি পরিবার-সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।বাবা সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি সামান্য একজন কৃষক। কৃষি কাজ করে তিন ছেলে মেয়ের পড়াশোনা করাই। ছেলেরা এমন সাফল্য আমি খুব খুশি।
advertisement
আগামীতে সাহাবুদ্দিন আইআইটিতে পড়াশোনা করে এগিয়ে যেতে চাই। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সাহাবুদ্দিন। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলেন ভাল ফল করবে। এমনকি পরীক্ষার পর সাহাবুদ্দিন ভাল ফলের আশা করেছিল। রাজ্যে ষষ্ঠ নয়, সাহাবুদ্দিনের আশা করেছিল আরও ভাল ফলের। এদিন সাহাবুদ্দিন বলে, ফল ভাল হবে আশা করেছিলাম তাই সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলাম। পরীক্ষার সময় কিছুটা ভয় পেয়ে গেছিলাম তাই কয়েকটা পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। নয়তো আরও ভাল ফল হতো আমার।মালদহের কালিয়াচক থানার মজোমপুরে বাড়ি সাহাবুদ্দিনের। বাবা সাহিফুদ্দিন আহমেদ পেশায় কৃষক।
মা শিউলি খাতুন একজন গৃহবধূ। তিন ভাই বোন সাহাবুদ্দিনেরা। নিজের সামান্য জমিতে কৃষিকাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি তিন ছেলে মেয়ের পড়াশোনা করান বাবা সাইফুদ্দিন। ছেলেরা এমন ফলাফলে খুশি তিনিও। আগামীতে কৃষিকাজ করে ছেলেকে আরও উঁচু স্তরে পড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে একজন বড় হয়ে ডাক্তার হোক। কিন্তু ছেলের ইচ্ছে আগামীতে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আইআইটি লাইনে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। তাই ছেলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে না গিয়ে, তাকে আইআইটি পড়ানোর ইচ্ছে বাবার। দুস্থ পরিবার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন। তার এমন নজর কারা সাফল্যে খুশি আশেপাশের বাসিন্দাড়াও। মালদহের নামজাদা কোন স্কুলে পড়ে নয়, প্রত্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করেই মেধা তালিকায় উঠে এসেছে তার নাম।
হরষিত সিংহ