শংকর জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের বাবুরহাট এলাকার সরকারি আবাসনে সে থাকছে। এই আবাসনটি বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য তৈরি। কারণ, কোচবিহার থেকে নিশিগঞ্জ চলাফেরা করতে অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে পড়াশুনার বিষয় নিয়ে স্কুল শিক্ষকেরা অনেকটাই সহযোগিতা করেছেন তাকে। এছাড়া সহপাঠীদের থেকেও অনেকটাই সাহায্য পেয়েছে। ভবিষ্যতে তার ইচ্ছা, আরও ভাল পড়াশোনা করে একজন শিক্ষক হয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। যাতে তাঁর মতন আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের সে পড়ানোর সুযোগ পায়।
advertisement
শঙ্করের মা জানান, একেবারেই অভাবের সংসার তাঁদের। দীর্ঘ সময় ধরে টানাটানি সংসারে কোনও মতে দিন চলে তাঁদের। তবে শঙ্করের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ঘাটতি রাখেননি তাঁরা। তাই শঙ্কর যদি ভবিষ্যৎ দিনে আরও পড়াশোনা করতে চায়, তাঁরা অবশ্যই করাবেন। শংকরের ভবিষ্যতের শিক্ষক হয়ে ওঠার ইচ্ছায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁর মা। শঙ্করের স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিটন দাস জানান, শংকর বেশ মেধাবী পড়ুয়া। সে যখন ক্লাসে থাকত তখন রেকর্ডারের মাধ্যমে ক্লাসের পড়ানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ রেকর্ড করত। তারপর বাড়িতে গিয়ে শুনে শুনে সেগুলি আয়ত্ব করত।
মাধ্যমিক ২০২৪ এর ফলাফলে শংকরের সাফল্য খুশির হাওয়া নিয়ে এসেছে টাউন হাই স্কুলের মধ্যে। এছাড়া শংকরের মা-বাবা অনেকটাই খুশি শঙ্করেরএই সাফল্যের কারণে। আগামী দিনে শংকর আরও ভালো ফলাফল করুক। এবং নিজের লক্ষ্যে পর্যন্ত পৌঁছে যাক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
সার্থক পণ্ডিত