পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বেশ কড়া মনোভাব দেখিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এ বছর প্রত্যেকটি মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রে থাকবে তিনটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের ওপর পর্ষদের কন্ট্রোল রুম থেকে চালানো হবে নজরদারি। তাছাড়াও প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকবে জিপিএস। যা দিয়ে নজরদারি চালাবে পর্ষদ। অন্যদিকে পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে দুজন করে কনস্টেবল রাখতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। অন্যদিকে নকল সরবরাহ রুখতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সদর দরজা গুলি খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে চাইলেই পরিদর্শকরা যে কোনও সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের হাল হকিকত দেখতে পারেন। এছাড়াও পরিদর্শক এবং ইনভিজিলেটরদের পর্ষদের নতুন অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে সমস্ত আপডেট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের মত জেলাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে বড় স্টেশন কোনটি? নাম শুনলে চমকে উঠবেন, গর্বও হবে! দ্বিতীয়টি নামটিতেও বিরাট চমক
গ্যাজেট ও মোবাইল ব্যবহার
বিগত বছরগুলির মত এ বছরেও পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও ভাবেই মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও পড়ুয়ারা পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি যে সমস্ত পুলিশ কর্মীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, তারাও খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে। অন্যদিকে কোনওরকম ইলেকট্রনিক্স গেজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। যে সমস্ত পড়ুয়াদের হিয়ারিং এড ব্যবহার করতে হয়, তাদেরও পরিদর্শকের কাছে অনুমতি সাপেক্ষে হিয়ারিং এড নিয়ে ঢুকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা শুরুর আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিরাট স্বস্তি, আর রইল না দুশ্চিন্তা
পরীক্ষা কেন্দ্র ভাঙচুর
বিগত দিনের মতো এবারও মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাইরের স্কুলে পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালিয়েছেন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে তবে চলতি বছরের সেইসব বন্ধ করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোনও বিদ্যালয়ে ভাঙচুর করা হলে, পরীক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তা না দিলে অভিযুক্ত স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল আটকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
পরিবহন
মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে পড়ুয়াদের কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য পরিবহন এর দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। যাতে করে সমস্ত রাস্তায় ট্রাফিক মসৃণ থাকে, তার জন্য পুলিশ এবং ট্রাফিক কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শিয়ালদা ডিভিশনের বেশ কিছু ট্রেনগুলিকে সব স্টপেজে থামতে বলা হয়েছে। সমস্ত পরিবহন সংস্থা এবং বাস ইউনিয়নগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, বেশি সংখ্যায় বাস চালানোর জন্য। বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস চালকদের কাছেও একই আবেদন রাখা হয়েছে। পড়ুয়াদের সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও যেকোনও অসুবিধা হলে, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য।
পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিদর্শক প্রাথমিক শিক্ষকরা
উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষার ইনভিজিলেটর বা গার্ডের দায়িত্বে থাকবেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। কারণ ওই জেলার গ্রামীণ এলাকায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। সেই অভাব পূরণের জন্যই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে ডিসপ্লে বোর্ড
এতদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে রোল নম্বর, সিট খুঁজে পেতে অসুবিধা হত পড়ুয়াদের। সেজন্য অভিভাবকদের প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হত। তবে এ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নতুন নিয়ম জারি করেছে। জানানো হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থাকবে একটি করে ডিসপ্লে বোর্ড। যার মাধ্যমে কোন দিকে কোন রুম, কোন রুমে কত থেকে কত সংখ্যক রোল নম্বর পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, ইত্যাদি বিষয়গুলি সেখানে নির্দেশিত থাকবে।
----Nayan Ghosh