প্রস্তুতি শেষ। তবুও রয়ে যায় বেশ কিছু 'ফ্যাক্টর' যা ম্যাজিকের মতোই বদলে দিতে পারে পরীক্ষার (Madhyamik 2022) ফলাফল। আতঙ্ক কাটিয়ে কী ভাবে জিতে নিতে হবে আত্মবিশ্বাস। কোন প্রশ্ন কী ভাবে লিখলে নম্বরের দৌড়ে এগিয়ে থাকা যাবে অন্যদের থেকে? সেইসব নিয়েই শিক্ষারত্ন ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষিকা শুক্লা রায়ের সঙ্গে নিউজ 18 বাংলার হয়ে কথা বলেছিলেন সংযুক্তা সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন : দোরগোড়ায় মাধ্যমিক! ভীতি কাটিয়ে কী ভাবে হলে পৌঁছবে পরীক্ষার্থীরা? পথ দেখালেন শিক্ষিকা
কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট গার্লস স্কুল, বেথুন স্কুল, সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল, কল্যাণী বিধানচন্দ্র রায় গভর্মেন্ট স্কুল - রাজ্যের এমনই চার চারটি নামি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব একসময় পালন করেছেন শিক্ষিকা শুক্লা রায়। শুনে নেওয়া যাক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য তাঁর বিশেষ কিছু পরামর্শ।
১)করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় গত এক বছরের বেশির ভাগটাই কেটেছে বাড়িতে। প্রস্তুতিও নিতে হয়েছে নিজেদের মতো করে। স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে না পারায় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীরা কি কিছুটা আতঙ্কে?
উত্তর : করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সমস্ত স্তরের শিক্ষার্থীরা। অন্যদের ক্ষেত্রে সেই ক্ষতিপূরণ হয়তো বা মেটানো সম্ভব তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা পরীক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এবং অনলাইন পঠন পাঠনে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার ফলে সত্যিই তারা অফলাইন পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট আতঙ্কিত।
২) অনলাইনে পড়াশোনায় লেখা অভ্যাস কমে গিয়েছে। তাতে কি সমস্যায় পড়তে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের?
উত্তর : লেখার অভ্যেস কমে যাওয়ায় অসুবিধে তো যথেষ্ট পরিমানেই আছে সেইসঙ্গে লেখার সময় বই বা গুগল খোলা বা কাউকে জিজ্ঞেস করে উত্তর লেখার অভ্যেস তৈরি হয়ে গিয়েছে। যা ভয়ানক ক্ষতিকারক। আর সেটাই কিন্তু পরীক্ষার্থীদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কিছু 'অনলাইন' পঠন মাধ্যমের অভ্যেস-জনিত কারণে পরীক্ষার্থীদের (Madhyamik 2022) বেশ বিপাকে পড়তে হতে পারে বলেই মনে করছি। আর সেটা থেকে নিজেদের বের করে পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারলেই কিন্তু পরীক্ষা হলে অনেকটা জয় পেয়ে নিতে পারে তারা।
আরও পড়ুন : ICSE ও ISC দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা বোর্ডের, জানুন
৩) ওদের পরীক্ষার আগের এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য কী পরামর্শ দেবেন আপনি?
উত্তর: ঘড়ি ধরে লেখার মহড়া দেওয়া কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বলি, লেখাপড়া। পড়া-লেখা কিন্তু বলি না। তাই আগে লেখা শব্দটি বেশ অর্থবহ। প্রতিটি পরীক্ষার আগে অবশ্যই এই কথাটি পরীক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাইব।
৪) পড়াশোনার পাশাপাশি অফলাইনে পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের মানসিক প্রস্তুতিও দরকার। কী দায়িত্ব এখানে বাড়ির অভিভাবকদের ?
উত্তর : অভিভাবকদের দায়িত্ব প্রতিদিন এক একটি বিষয়ের ওপর ঘড়ি ধরে তিন ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষা নেওয়া। বাড়িতে সেরকম সচেতন ও শিক্ষিত অভিভাবক না থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারেন।
৫) পরীক্ষায় কী ভাবে প্রশ্ন নির্বাচন করতে হবে, কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর আগে লেখা সুবিধাজনক?
উত্তর : পরীক্ষার্থীরা অন্যান্য বার আগে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর ঘড়ি ধরে অল্প সময়ে লিখে ফেলতে। তবে এই বছর পড়ুয়াদের একটু আলাদা ভাবে উত্তর করতে বলবো। এক্ষেত্রে যেটা যেটা ভালো করে প্রস্তুত আছে সেগুলি চটপট নম্বর দিয়ে লিখে নিতে পারো। তারপর অন্য প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে গ্রুপ এ বি সি ডি-র উত্তরগুলি একই জায়গায় করা উচিত। কোনওটা না পারলে সেখানেই ফাঁকা জায়গা রেখে পরে চেষ্টা করা যেতে পারে।