আরও পড়ুনঃ সারা বিশ্বে সেরা ‘ব্রেকফাস্ট’ তালিকায় ভারতের তিন খাবার! চেনা এই নামগুলি শুনে চমকে যাবেন
ইতিমধ্যেই, WBCS-এর রেজাল্ট প্রকাশিত হতেই চমক দিয়েছেন সোহেল। রাজ্যে ১৩৫ তম স্থান অধিকার করেছেন সোহেল আল মামুন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া এলাকা মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত তেনাউড়ি গ্রামের মৃত বরজাহান সেখ এবং মা মৃত সানাওয়ারি বিবির তিন সন্তান। ছোট সন্তান সোহেল আল মামুন। সোহেলের যখন ছ’মাস বয়স, তখনই মা মারা যান৷ এক রত্তি মামুন কে বুকে আগলে রাখেন দিদা রূপবান বেওয়া। তাঁর কাছে পালিত হন সোহেল আল মামুন। ছ’বছরের মামুনের ঠাঁই হয় পাশের গ্রামে মামার বাড়িতে। বাবা শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। বছর চারেক আগে বাবার ও আকস্মিক মৃত্যু হয়। পরিবারে দারিদ্র্য নেমে আসে। অদম্য জেদ আর অধ্যবসার কাছে হার মেনেছে দারিদ্র্য। বছর ৩০এর সোহেল আল মামুন এবছর ডব্লুবিসিএস পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে ১৩৫তম স্থান অধিকার করেছেন।
advertisement
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের পদে যোগ দেবেন তিনি। পরিবারে অভাব থাকলেও মামুনকে কখনও পড়াশোনা ছাড়তে বলেননি বাবা বরজাহান সাহেব। বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ভর্তি হন শ্রীরামপুর টেক্সটটাইল কলেজে। সেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং – এ স্নাতক হন। এরপর থেকে মামুন ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া লড়াই শুরু হয়। অসুস্থ বাবার চিকিৎসার খরচ, পরিবারে কিছুটা সাহায্য করার এবং নিজের খরচ জোগাতে কেন্দ্রীয় স্কুলে ভোকেশনাল ট্রেনার হিসেবে পার্ট টাইম কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি, রাত জেগে WBCS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকে। গত ২০২২ এ WBCS পরীক্ষায় বসেন তিনি। আর তাতেই বাজিমাত। মামুনের সাফল্যে খুশির হাওয়া গোটা এলাকাতেই। ভাগ্নের সাফল্যে খুশি মামারাও।
কৌশিক অধিকারী