এমবিবিএস করতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকা কিছু স্কলারশিপের তালিকা:
প্রধানমন্ত্রী উচ্চতর শিক্ষা প্রোৎসাহন যোজনা (PM-USP):
কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী উচ্চতর শিক্ষা প্রোৎসাহন যোজনা (PM-USP) আসলে একটি কেন্দ্রীয় খাতের বৃত্তি প্রকল্প (PM-USP CSSS)। দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় তাঁদের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করাটাই এই যোজনার লক্ষ্য।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফর্সা ত্বকের জন্য ইঞ্জেকশন নিতেন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি, খেতেন ওষুধ! ভারতে এই চিকিত্সার খরত কত?
এই স্কলারশিপ দেওয়া হয় ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে। হায়ার সেকেন্ডারি এবং দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এই বাছাই প্রক্রিয়া বা সিলেকশন হয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্বের ডিগ্রি অর্জনের জন্য এবং মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো পেশাদার পাঠ্যক্রমের জন্য প্রতি বছর সর্বাধিক ৮২,০০০ নতুন বৃত্তি প্রদান করা হয়। সংরক্ষিত বিভাগ/ পিছিয়ে পড়া শ্রেণী/সংখ্যালঘু শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মেধা এবং কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ নীতির ভিত্তিতে এর জন্য যোগ্য হন।
এর জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে?
scholarships.gov.in-এ National Scholarships Portal (NSP)-এর মাধ্যমে সমস্ত আবেদন (নতুন এবং রিনিউ করার জন্য) অনলাইনে জমা করতে হবে। DigiLocker ফেসিলিটি ব্যবহার করে জাতি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মতো পড়ুয়াদের দেওয়া তথ্য যাচাই বা ভেরিফাই করা হয়।
স্কলারশিপ বণ্টন:
Direct Benefit Transfer (DBT) মোডের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্কলারশিপ বিতরণ করা হয়। কোর্সের লেভেল এবং মেয়াদের উপর এই স্কলারশিপ বা বৃত্তির হার নির্ভর করে।
ONGC Scholarship Scheme:
ONGC Foundation-এর একটি উদ্যোগ হল ওএনজিসি স্কলারশিপ স্কিম। মূলত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা প্রদান করাই এর লক্ষ্য। ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিবিএস, এমবিএ, জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিষয়ে যাঁরা ডিগ্রি অর্জন করতে চান, তাঁদের এই স্কিমে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে বিশেষ করে সহায়তা প্রদান করা হয় এসসি/এসটি, ওবিসি এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণীর পড়ুয়াদের।
যোগ্যতা:
এসসি/এসটি, ওবিসি এবং আর্থিক ভাবে দুর্বল জেনারেল শ্রেণীর মেধাবী পড়ুয়ারাই শুধুমাত্র এই স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। যেসব ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিবিএস, এমবিএ করছেন অথবা জিওলজি ও জিওফিজিক্সে মার্স্টার্স করছেন, তাঁরাই কেবল এই সুবিধা পাবেন।
আবার ওবিসি ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিবিএস, এমবিএ-র প্রথম বর্ষে রয়েছেন অথবা জিওলজি কিংবা জিওফিজিক্সে মাস্টার্স করছেন, তাঁদের জন্য এটা বড়সড় সুযোগ হতে চলেছে।
একই ভাবে আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণীর জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিবিএস, এমবিএ-র প্রথম বর্ষে রয়েছেন অথবা জিওলজি কিংবা জিওফিজিক্সে মাস্টার্স করছেন, তাঁরাই এই স্কলারশিপ পাবেন।
স্কলারশিপের পরিমাণ:
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে যে, ২০১৯-২০ ব্যাচের আওতায় সিলেক্টেড ওবিসি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৫০০ জন নিজেদের পড়াশোনা শেষ করার জন্য বার্ষিক ভিত্তিতে ৪৮০০০ টাকা স্কলারশিপ পেয়েছেন।
All India Pre Medical Scholarship Test:
যাঁরা MBBS, BDS, BHMS, BAMS এবং BUMS কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে AIPMST (Secondary) স্কলারশিপ পরীক্ষা হল একটি প্রি-মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
স্কলারশিপের পরিমাণ:
সেকশন এ:
৯০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর অর্জনকারী ১০০০ জন যোগ্য প্রার্থীর জন্য ২ বছরের টিউশন ফি হিসেবে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
সেকশন বি:
৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থেকে ৯০ শতাংশের কম নম্বর অর্জনকারী ৫০০০ জন যোগ্য প্রার্থীর জন্য ১ বছরের টিউশন ফি হিসেবে স্কলারশিপ প্রদান করা হবে।
সেকশন সি:
৭০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থেকে ৮০ শতাংশের কম নম্বর অর্জনকারী ১০০০০ জন যোগ্য প্রার্থীকে স্কলারশিপ হিসেবে একটি স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।
সেকশন ডি:
৭০ শতাংশের কম নম্বর অর্জনকারী ১০০০ জন যোগ্য প্রার্থীকে স্কলারশিপ হিসেবে একটি স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও যেসব পরীক্ষার্থী MBBS, BDS, BAMS, BUMS, BHMS-এ ভর্তির যোগ্য নন, তাঁরা AIPMST প্রাইমারি ফর হেলথ সায়েন্স কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং AIPMST প্রাইমারি পার্টিসিপেটিং কলেজে ভর্তি হয়ে বৃত্তিও পেতে পারবেন।
Vidyavridhi Medical Scholarship:
যশোদা হসপিটালস গ্রুপের সেবামূলক শাখা যশোদা ফাউন্ডেশনেরই উদ্যোগ হল বিদ্যাবৃদ্ধি মেডিক্যাল স্কলারশিপ। এই বৃত্তিটি হায়দরাবাদে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনকারী যোগ্য মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, তাঁদের টিউশন ফি কভার করে এবং চারটি শিক্ষাবর্ষের জন্য বার্ষিক ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফান্ড প্রদান করে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল – আর্থিক ভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করা। শুধু তা-ই নয়, প্রতি বছর ১০ জন নতুন শিক্ষার্থী নির্বাচন করা এবং বৃত্তি রিনিউ করার সুযোগ দেওয়াটাও এর অন্যতম লক্ষ্য। অনলাইনে একটি New Student Registration Form পূরণ করে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে আবেদনকারীদের। সেখানে ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং শিক্ষাগত তথ্য প্রদান করতে হয়। সেই সঙ্গে জমা করতে হয় একাধিক নথি। এর মধ্যে অন্যতম হল – অ্যাকাডেমিক স্কোর এবং আয়ের শংসাপত্রও।