মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে শূন্যপদে নিয়োগ করার কথা বলেছিলেন। সেই মতো অর্থ দফতর অনুমতিও দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্যের মাস এডুকেশন এক্সটেনশন অ্যান্ড লাইব্রেরি সার্ভিস দফতর। দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, 'আমাদের দফতরে চার হাজারের কাছাকাছি শূন্যপদ রয়েছে। তার মধ্যে অর্থ দফতর থেকে ৭৩৮টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারের জন্য নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।'
advertisement
মন্ত্রী জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে সমস্ত জেলায় লোকাল লাইব্রেরী অথরিটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিতে জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি লাইব্রেরী বিশেষজ্ঞদেরও রাখা হবে। দফতরের বাকি শূন্যপদ গুলির জন্য কত দিনে নিয়োগ করা হবে সে বিষয়ে মন্ত্রী জানান, 'অর্থ দফতরের অনুমোদন পেলে আমরা সেই কাজও শুরু করে দেব।'
পাশাপাশি, দফতরের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে করোনার জন্য বন্ধ থাকা রাজ্যের লাইব্রেরি এ বারে পাঠকদের জন্য সপ্তাহে দু-দিন করে খুলে দেওয়া হবে। ২৩ মার্চ, ২০২০ থেকে করোনার জন্য রাজ্যের সমস্ত লাইব্রেরি বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, 'দু-সপ্তাহের মধ্যেই সব লাইব্রেরি পাঠকদের জন্য শুধুমাত্র সোমবার এবং বুধবার খোলা থাকবে। আসন সংখ্যার অর্ধেক পাঠককে লাইব্রেরিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।'
একই সঙ্গে রাজ্যের পাঁচটি লাইব্রেরিকে পরীক্ষামূলক ভাবে ই-গ্রন্থালয়ে পরিণত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কলকাতা মেট্রোপলিটন লাইব্রেরি, আজাদ হিন্দ পাঠাগার, বারাসাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সরকারি লাইব্রেরি, টাকী সহকারী জেলা গ্রন্থাগার এবং বালি পাবলিক লাইব্রেরি ঘিরে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
SOUJAN MONDAL