কিছুটা হলেও তাঁর লড়াই সফল হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৩.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন সাগর। সংসারের হাল ধরতে নিজেও টিউশন করেন। পড়াশোনার এখনও অনেক পথ বাকি। তাই লড়াইও বাকি। পাশে দাঁড়িয়েছিল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ।
বিনপুর থানার পুলিশ দু’বছর ধরে সাগরের টিউশনের খরচ দিত। কিন্তু বাবা অসুস্থ থাকায় পরিবারের সাহায্যের জন্য সাগর বাড়িতে টিউশন পড়িয়ে যৎসামান্য উপার্জন করেন। তাতেও সব খরচ জোটানো সম্ভব নয়। এত কিছুর মধ্যেও সাগর স্বপ্নের পথে ছুটতে বদ্ধপরিকর। তাঁর লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। সাগর বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় পুলিশ ও শিক্ষকেরা অনেক সাহায্য করেছেন। বাবা দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরিব পরিবারের ক্ষেত্রে এমন মারণ কোনও রোগ হলে যাতে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি, সে জন্য চিকিৎসক হতে চাই।”
advertisement
আরও পড়ুন : বিয়ের পর মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ নবদম্পতি
উচ্চ মাধ্যমিকে সাগর বাংলায় ৮৭, ইংরেজিতে ৯৭, অঙ্কে ৭৭, জীববিদ্যায় ৯৬, রসায়নে ৯৭, পদার্থবিদ্যায় ৯০ নম্বর পেয়েছে। বছর সাতেক আগে সাগরের বাবা অজিতের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য যেতে হয় তাঁকে। দুরারোগ্য অসুখ নিয়েও অজিত গোস্বামী গৃহশিক্ষকতা করেন। তবে তাঁর ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমেছে। আগের মত শরীরও সুস্থ থাকে না পড়ানোর জন্য।
সাগরের মা কৃষ্ণা জামা কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। মাধ্যমিকে ৯৬.২৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন সাগর। কৃষ্ণা বলেন, “খুবই অসুবিধা ও কষ্টের মধ্যে সংসার চালাতে হয়। ছেলে নিজেও টিউশন পড়ায়। মেডিক্যালে পড়ার ক্ষেত্রে কোনও ভাবে সাহায্য পেলে ওর সুবিধা হবে।”