আরও পড়ুনঃ গরমে ব্লাডসুগারের তাণ্ডব! এইভাবে রসুন খেলে ডায়াবেটিসের রফাদফা! মধুমেহ ঘায়েল ১০ দিনে
ক্লাসরুমের পঠন-পাঠনের সঙ্গে কার্যক্ষেত্রে কতটা মিল ,কতটা অমিল সেসবের বাস্তব অভিজ্ঞতা-সহ পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের জন্যেই এমন অভিনব উদ্যোগ প্রাক্তনীদের। তাঁদের উদ্যোগে কলেজে চালু হল ‘রিডার্স কর্ণার’—একটি আধুনিক পাঠাগার ও আলোচনাকেন্দ্র। কিভাবে সাহায্য করবে এই রিডার্স কর্ণার? এই রিডার্স কর্ণারে দেশ-বিদেশের নামী জার্নাল, টেকনিক্যাল বই এবং শিল্প সংক্রান্ত নানা রিসোর্স থাকবে। প্রতিদিন রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই কর্ণার, ফলে ক্লাস শেষ করেও ছাত্রছাত্রীরা সেখানে বসে পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে এখানেই শেষ নয়। কলেজের প্রাক্তনীরা, যাঁরা আজ দেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত, নিয়মিত এই কর্ণারে এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন।
advertisement
প্রাক্তনীদের কথায়, “কলেজে থিওরি পড়ানো হয়, কিন্তু বাস্তবে শিল্পে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন প্র্যাকটিকাল নলেজ। সেই ব্যবধান ঘোচাতেই এই উদ্যোগ।” এই রিডার্স কর্ণার শুধু পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য নয়, শিল্পজগতের বাস্তব পরিস্থিতি ও কাজের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা গড়ে তুলতেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ ৯৯% মানুষেই জানেন না ‘সঠিক’ উত্তর! বলুন তো টম্যাটোর বাংলা কী?
কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, “প্রাক্তনীরা যেভাবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই রিডার্স কর্ণার আমাদের কলেজের একটা বড় সম্পদ হয়ে উঠবে।” জলপাইগুড়ির মতো শহরে এই ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে নজির গড়ল। ভবিষ্যতের ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলো ছড়িয়ে দিতে এই রিডার্স কর্ণার হয়ে উঠতে চলেছে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা!
সুরজিৎ দে