মেঘমালা ছোটো থেকেই ব্যান্ডেল অক্সিলিয়াম স্কুলে পড়েছেন।আরও অনেকের মতই ক্লাস টেনের পরীক্ষা দিতে পারেননি করোনার জন্য।পরীক্ষা না দিতে পারায় আফসোস ছিল মেধাবী মেঘমালার।বারো ক্লাসের পরীক্ষায় সেই আফসোস পুষিয়ে নিলেন।কেমিস্ট্রি তার পছন্দের বিষয়।কেমিস্ট্রি নিয়েই পড়াশোনা করে বাবার মত অধ্যাপনা অথবা গবেষণা করতে চান মেঘমালা।
আরও পড়ুন: প্রথম স্থানে দুজন, দ্বিতীয় স্থানে পাঁচজন, ISC- তে সেরাদের তালিকায় বাংলার কারা?
advertisement
চুঁচুড়া আমড়াতলার লেনের বাসিন্দা দাদু মানস দাশগুপ্ত চুঁচুড়া মল্লিক বাটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন,ঠাকুমা শিবানী দাশগুপ্ত বঙ্গ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকা।বাবা শমীক দাশগুপ্ত খন্যান ইটাচুনা কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক।মা সুরঞ্জনা অর্থনীতিতে গোল্ড মেডেলিস্ট।
তাই পড়াশোনার পরিবেশেই বড় হয়ে ওঠা মেঘমালার। তবে কোনও দিনই তাকে পড়ার জন্য বলতে হয়নি। নিজে থেকেই বই নিয়ে বসে পড়ে।
পড়ার বাইরে রবীন্দ্রনাথের গান প্রিয়, ফেলুদার ভক্ত মেঘমালার।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণিতে কলা বিভাগে নিজের শহরে সেরা এই ছাত্রী, স্বপ্ন IAS হওয়ার
নিজে ভালো গান করার পাশাপাশি ছবি আঁকা ক্যারাটে শেখা তার পছন্দের।
মা সুরঞ্জনা দাশগুপ্ত জানান,আজ মাতৃ দিবস আমার কাছে আরও বিশেষ হয়ে গেলো। মেয়ে খুব পরিশ্রম করেছে তার ফল পেয়েছে।করোনা কালে ক্লাস টেনে বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারেনি।মানসিক ভাবে খুব যন্ত্রনায় ছিল আমরাও ছিলাম।সেই জায়গা থেকে এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে তাতেই আমরা খুশি।
এবার আসা যাক রিয়ার কথায়৷ আই এস সি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় রাজ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে জলপাইগুড়ি বেলাকোবার ছাত্রী রিয়া মোহতা।জলপাইগুড়ি হলি চাইল্ড স্কুলের ছাত্রী রিয়ার নজরকাড়া এই সাফল্যে খুশি পরিবার প্রতিবেশী। খবর পেয়ে রিয়ার বাড়ি তে গিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানান রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে রিয়া জানায় ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে।
সৈকত বিশ্বাস , শান্তনু কর