গত বছরের নভেম্বর মাসে বিদেশে দু’টি ক্যাম্পাস খুলতে চেয়ে অনুমোদন চেয়েছিল আইআইটি দিল্লি (IIT Delhi)। মিশর এবং সৌদি আরবে নিজেদের ক্যাম্পাস (Overseas Campus) খুলতে চেয়েছিল তারা। মরিশাসে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রিসার্চ আকাদেমি খোলার প্রস্তাবে প্রশ্ন তোলেন তৎকালীন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির বিদেশে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদনও রয়েছে এই বিষয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন- ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং, ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ে বিশেষ কোর্স শুরু আইআইএম কলকাতার
জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিদেশি পড়ুয়াদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নয়, বিদেশে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করতেও লক্ষ্য রাখতে হবে এই ক্যাম্পাসগুলিকে (Overseas Campus)। আন্তর্জাতিক নানান কোর্সে ভারতীয় পড়ুয়াদের পড়ার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। এমনকী ভারতীয় পড়ুয়াদেরও সুযোগ দিতে হবে যাতে তাঁদের পাঠ্যক্রমের একটা অংশ যদি বিদেশের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়া যায়।
আরও পড়ুন- চাকরির বাজারে টেক্কা দিল কলকাতা, তিন মাসেই চাকরি কয়েক লক্ষ যুবক-যুবতীর
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রের খবর, রাধাকৃষ্ণন কমিটি (Radhakrishnanan Committee) ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেছে এবং কতগুলি ক্যাম্পাস সম্ভব এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে একদফা। আইআইটি দিল্লির প্রস্তাবিত বিদেশের ক্যাম্পাসে পড়ানো হবে চার বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রম। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে বড় বড় শহরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত স্থানে, ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা যুক্ত ১০০ একরের মতো জমিতে এই ক্যাম্পাস গড়া যেতে পারে যেখানে SAT স্কোরের ভিত্তিতে বার্ষিক ২৪০ জন পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবেন।
আইআইটি কাউন্সিল স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপার্সন ডঃ কে রাধাকৃষ্ণনের নেতৃত্বে এই কমিটিতে রয়েছেন মুম্বই, দিল্লি, খড়গপুর, মাদ্রাজ, কানপুর, গুয়াহাটি, ধানবাদ আইআইটির ডিরেক্টররা। প্যানেলে রয়েছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস বেঙ্গালুরুর ডিরেক্টর এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, এবং হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও।