রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা ছিল ১ জুলাই থেকে স্নাতক স্তরে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরপরই লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ স্নাতক স্তরের ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। যদিও সেই সময় বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজর এড়িয়ে গেলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় নজরে এসেছে গোটা বিষয়টি। তবে ইতিমধ্যেই কলেজের আবেদনপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
advertisement
যদিও এই নির্দেশিকা কেন তার পিছনে যুক্তি রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের। সূত্রের খবর কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি সম্প্রতি ইংরেজি মাধ্যমে না পড়ার জন্য একাধিক ড্রপ আউট হচ্ছিল কলেজে। কারণ লরেটো কলেজে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। এরে জেরে বাংলা মাধ্যম থেকে আসা পড়ুয়াদের ড্রপ আউট হচ্ছিল। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের এও যুক্তি, গত বছরও তারা এই নিয়মেই ভর্তি প্রক্রিয়া করেছে। যদিও গোটা বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরে আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আজই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কারণ জানতে চাওয়া হয়। কী কারনে এই নির্দেশিকা দিল লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ, তার লিখিত কারণ জানাতে বলা হয়।
আরও পড়ুন – ২জি মুক্ত দেশ! সকলের জন্য ইন্টারনেট, রিলায়েন্স আনল ‘জিও ভারত’
আরও পড়ুন – দাম মাত্র ৯৯৯ টাকা ! জলের দরে দুর্দান্ত ফোন বাজারে আনল রিলায়েন্স
যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনও লিখিত উত্তর না দেওয়া হলেও, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দেবাশীষ দাস জানিয়েছেন “কী কারনে এই সিদ্ধান্ত নিল লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ, তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিতভাবে কারণ জানতে চেয়েছি। তারা কারণ না জানানোর জন্য আগামিকাল বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে।”
যদিও লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ অবশ্য গত বছরের ভর্তি প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদেরও ওপর দোষ চাপাচ্ছে। গতবছর এই নিয়মে লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া করলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে পদক্ষেপ করা হল না, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মৌখিকভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছে, তারা গত বছর এই নিয়মেই ভর্তি প্রক্রিয়া করেছিল। যেহেতু ড্রপ আউট হচ্ছিল, তাই কলেজের অ্যাডমিশন কমিটি এই নিয়মেই ভর্তি প্রক্রিয়া করার কথা বলে। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিকদের যুক্তি, যেখানে অনেক আগেই তারা ভর্তি প্রক্রিয়া করে ফেলেছে, সেখানে কী ভাবে গোটা বিষয়টি সমাধান সম্ভব তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়