তবে সঞ্চিতা নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় তার বাবা মারা যান। তারপর থেকে সংসারের হাল ধরেছে সঞ্চিতার মা পম্পা কর্মকার। মা এর সহযোগিতাতেই সঞ্চিতা আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়েও কোনওরকমে তার পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। অদম্য জেদ আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসার কারণে মেধা তালিকায় জায়গা না পেলেও সঞ্চিতা ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সঞ্চিতা জানিয়েছে , “আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ থেকেও আমি এই ফলাফল করে অনেক আনন্দিত হয়েছি। আমার পড়াশোনার নির্দিষ্ট সেরকম কোনও সময় ছিলনা। যখন ভাল লাগতপড়তে বসতাম। ইংরেজি বিষয় নিয়ে এগোনোর ইচ্ছে রয়েছে তবে স্বপ্ন রয়েছে আইএএস অফিসার হওয়ার। “পরিবারে আর্থিক অনটন নিত্যসঙ্গী। তবুও এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করছেন দুঃস্থ পরিবারের মেয়ে সঞ্চিতা কর্মকার।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ ব্লকের মুলগ্ৰামের মেয়ে সঞ্চিতা কর্মকার। উচ্চমাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৬। মাত্র দুজন শিক্ষকের কাছে পড়াশোনা করেই এহেন ফলাফল করেছে সঞ্চিতা। সঞ্চিতার এই ফলাফলের কারণে খুশি হয়েছে গ্রামবাসী থেকে শুরু করেছে শিক্ষক শিক্ষিকা সকলেই।তবে সঞ্চিতা জানিয়েছে তার মায়ের সহযোগিতার কারণেই আজ সে এই ফলাফল করতে পেরেছে। প্রতিটা ক্ষেত্রে মায়ের সম্পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে সঞ্চিতা। এই প্রসঙ্গে সঞ্চিতার মা পম্পা কর্মকার বলেন , “পরিশ্রমের কারণেও সফল হয়েছে। বাড়িতে বেশিরভাগ সময় ও বই নিয়েই বসে থাকতো। রাত্রি প্রায় ২ টো থেকে ২:৩০ পর্যন্ত পড়াশোনা করত। কোনওরকমে আমাদের সংসার চলে। ও একটা স্কলারশিপ পায় এবং এবং আমার বাবা কিছু সাহায্য করে। সেখান থেকেই কোনও রকমে চলছে। “
দুঃস্থ ঘরের মেয়ে সঞ্চিতার স্বপ্ন সে আইএএস অফিসার হবে । তবে বর্তমানে আর্থিক অবস্থা তার বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আগামী দিনে কীভাবে নিজের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছে সঞ্চিতা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী