এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। পরীক্ষা হলের মধ্যে কীভাবে বাজিমাত করে আইআইটি-তে প্রবেশ করার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন, সেটাই এখন পরীক্ষার্থীদের সবথেকে বড় ভাবনার বিষয়।
এই বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের সহায়ক কিছু টিপস দিচ্ছেন আইআইটি রুরকির পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং লাজপত নগরের আনঅ্যাকাডেমির সিনিয়র ফ্যাকাল্টি আশিস শর্মা। বিশেষজ্ঞ আশিস আমাদের কাছে বলেন যে, পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শেষ মুহূর্তের সবথেকে বড় পরামর্শ হল, এই সময় আর নতুন ইউটিউব ভিডিও অথবা নতুন প্রশ্নপত্র সমাধান করার চেষ্টা না করাই ভাল।
advertisement
শুধু তা-ই নয়, শেষ মুহূর্তে আর নতুন কোনও বই পড়ারও প্রয়োজন নেই। এমনটা করলে কিন্তু বিভ্রান্তি তৈরি হবে। এমনকী মনে গেঁথে থাকা স্পষ্ট কনসেপ্টের ক্ষেত্রেও বিভ্রান্তি আসতে পারে। আর পরীক্ষার দিনে সব মিলিয়ে বিষয়টা গুলিয়ে যেতে পারে। তাই আপাতত নিজের লেখার গতির উপর ধ্যান দিতে হবে এবং আগে যা পড়া হয়েছে, তা আরও একবার ঝালিয়ে নিতে হবে।
নেগেটিভ মার্কিং এড়ানোর চেষ্টা:
বিশেষজ্ঞ আশিস শর্মা বলেন যে, উত্তর লেখার সময় প্রথমে সেই সব প্রশ্নেরই উত্তর লিখতে হবে, যার উত্তর জানা রয়েছে। যেগুলির ক্ষেত্রে স্বল্প বিভ্রান্তি রয়েছে, সেগুলি নিয়ে তারপরে বসতে হবে। নেগেটিভ মার্কিং যাতে না হয়, সেদিকে কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিংয়ের অর্থ হল মাইনাস দুই। এর পাশাপাশি লেখার গতি দ্রুত থাকতে হবে। যাতে সময়ে উত্তর শেষ করা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে প্রশ্নপত্রে থাকা সমস্ত নির্দেশ খুঁটিয়ে পড়ে নিতে হবে। যাতে ভুল হওয়ার কোনও অবকাশ না থাকে।
এক দিন আগে পরীক্ষাকেন্দ্র দেখে নেওয়া:
আশিস শর্মা আরও বলেন যে, পরীক্ষার্থীরা আরও একটা ভুল করেন। তাঁরা পরীক্ষার দিনেই পরীক্ষাকেন্দ্র দেখতে যান। ফলে অনেকেই সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজে পৌঁছতে পারেন না। ফলে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে আগের দিন গিয়ে একবার পরীক্ষাকেন্দ্রটি দেখে আসা ভাল। জায়গাটা কোথায় আর নিজের বাড়ি থেকে সেখানে যেতে কতক্ষণ লাগবে, সেটাও দেখে নিতে হবে। তাহলে সেই হিসাব করেই পরীক্ষার দিন বাড়ি থেকে বেরোতে হবে। কারণ সকাল ৭টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো আবশ্যক। আর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই আসন দিয়ে দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। তাই সময়ের খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার আগের দিন ২৪ ঘণ্টার একটা ভাল ঘুম হওয়াটাও জরুরি। যাতে পরীক্ষার হলে ঘুম না আসে, আর এনার্জিও থাকে তুঙ্গে।