মুজিবুর কখনও নিজের ট্রাইসাইকেল বা কখনও বাবার কোলে চড়ে আসছে পরীক্ষা কেন্দ্রে, এবারও পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে চাকরি করবে এমনই আশা তার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের কৃষ্ণপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মুজিব সরকার। স্কুলের সমস্ত শিক্ষক থেকে শুরু করে এলাকার সমস্ত মানুষ চান, মুজিবুর পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করুক।
advertisement
চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুর সরকার পেশায় দিন মজুর। কোনও ক্রমে চলে সংসার। ওহিদুরের মেজো ছেলে মুজিবুর সরকার। জন্মের কয়েক বছর পর হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। ডাক্তার দেখালেও পরিবারের সদস্যরা ছেলেকে সুস্থ করতে পারেনি। এলাকাবাসীও পাশে দাঁড়িয়েছিল ওহিদুরের। কিন্তু সুস্থ হয়নি মজিবুর। ধীরে ধীরে শরীরের অধিকাংশ অংশ তার অচল হয়ে পড়ে। কোমর থেকে পা পর্যন্ত একেবারে নড়াচড়া করতে পারে না সে।
আরও পড়ুন- জোর করে গর্ভনিরোধক খাওয়ানো হতো! মর্মান্তিক পরিণতি গৃহবধূর
এক কথায় ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী বললেই চলে। আর সেই প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে মজিবুর এবার উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে পাশে নিয়ে মজিবুরের লেখা পড়ার আগ্রহ দেখে এলাকার সমস্ত মানুষ থেকে স্কুলের শিক্ষকরা চায় মুজিবুর উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করুক। আর মজিবুর চাইছে, বড় হয়ে সে চাকরি করে বাবা মায়ের সংসারের হাল ধরবে।
সুকান্ত চক্রবর্তী
