কার্তিকা জানিয়েছেন, ‘‘আমার বাবা বহু দিন ধরে মুখ্য বিচারপতির গাড়ি চালিয়ে এসেছেন৷ খুব ছোট বয়স থেকেই ওই কালো কোট এবং আইন আদালতের পরিবেশ আমার মনের খুব কাছের হয়ে উঠেছে৷ বাচ্চাদের নানা বয়সে ইচ্ছে ও স্বপ্ন পাল্টে যায়৷ আমার বরাবর একটাই স্বপ্ন ছিল৷ আমি সেদিকেই এগিয়েছি৷ ’’ দৃপ্ত কণ্ঠে বলেছেন চার ভাইবোনের মধ্যে মেজো কার্তিকা৷ তাঁর বাকি ভাইবোনরাও আইন নিয়ে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি৷
advertisement
যোধপুরের সেন্ট অস্টিন্স স্কুলের প্রাক্তনী কার্তিকা ল’-এর ডিগ্রি পেয়েছেন যোধপুরেরই জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷ পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেমিস্টার থেকে জেলা আদালতে ইন্টার্নশিপ তাঁকে স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছেন বলে জানান তিনি৷ কোভিডকালে তিনি পড়াশোনা করেছেন অ্যাপের দূরশিক্ষায়৷ সাধারণত তিনি দিনে গড়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করেন৷ তবে পরীক্ষার কাছাকাছি সময়ে দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাও পড়াশোনা করেছেন৷
আরও পড়ুন : প্রচুর একাগ্রতা, তুখোড় বুদ্ধি, শারীরিক যোগ্যতা, আইএএস-আইপিএস হওয়ার মানদণ্ড
আরও পড়ুন : টেট উত্তীর্ণদের জন্য সুখবর, পুজোর পরেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
কার্তিকা মনে করেন স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকেই আইনপাঠ একটু একটু করে শুরু হওয়া দরকার৷ শুধু মেয়েদেরই নয়, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইন নিয়ে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই কৃতী৷ ভুলতে পারেন না স্বপ্নপূরণের পথে পরিবারের সমর্থনকেও৷ আরও একটা জিনিসকে সাফল্যের চাবিকাঠি বলে মনে করেন তিনি৷ সেটা হল, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা৷ জানিয়েছেন কাজের প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন ঠিকই৷ কিন্তু ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি নেই৷ ভার্চুয়াল জগতের আকর্ষণ থেকে তিনি দূরেই থাকতে ভালবাসেন৷