বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কড়া বার্তা: ১ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিআই ও এসএসসি-কে জানাতে হবে অবস্থান
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন—
“উচ্চপ্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে সরাসরি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না থাকলেও, প্রাথমিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই এমন কিছু তথ্য ও নথি পেয়েছে, যার ভিত্তিতে চার্জশিটে বলা হয়েছে—টাকার বিনিময়ে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় চাকরি দেওয়া হয়েছে।”
advertisement
ভাল করে ইংরেজি বলতে পারেন না? এই টিপসগুলো মানলেই ঘরে বসে তুখোড় ‘ইংলিশ’ বলবেন এবং লিখবেন!
এই পরিস্থিতিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে—
- সিবিআইকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের এই অবস্থান বিস্তারিত জানাতে হবে।
- এসএসসি-কে ওই দুই বিষয়ের নিয়োগের পূর্ণ মেধাতালিকা আদালতে পেশ করতে হবে।
উচ্চপ্রাথমিক কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শূন্যপদের হিসেব ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন
- ঘোষিত শূন্যপদ (কর্মশিক্ষা): ১,২৩৭
- ঘোষিত শূন্যপদ (শারীরশিক্ষা): ১,০১৯
- অতিরিক্ত শূন্যপদ (কর্মশিক্ষা): ৭৫০
- অতিরিক্ত শূন্যপদ (শারীরশিক্ষা): ৮৫০
অর্থাৎ, প্রথমে যা শূন্যপদ বলে জানানো হয়েছিল, পরে তা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই অতিরিক্ত শূন্যপদের তথ্য নিয়েও আদালতের কৌতূহল, কারণ প্রশ্ন উঠেছে—কাদের নিয়োগ করা হয়েছে ওই শূন্যপদের ভিত্তিতে?
মীনাক্ষী ঘোষ-সহ একাধিক প্রার্থীর মামলা, দাবি—সিবিআই তদন্ত ও ওএমআর স্ক্রিপ্ট প্রকাশ
এই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত ও ওএমআর (OMR) উত্তরপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মীনাক্ষী ঘোষ-সহ একাধিক পরীক্ষার্থী। তাঁদের যুক্তি, যোগ্য অথচ বাদ পড়া বহু প্রার্থী আজও কর্মহীন, আর অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে অনেকে।
পরবর্তী শুনানি: ১ জুলাই
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ জুলাই। তার আগে সিবিআই ও এসএসসি-কে তাদের অবস্থান আদালতে পেশ করতে হবে।