এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘‘রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের এ বিষয়ে সুপারিশ ছিল। সেজন্যই কয়েক বছর আগে আমরা পাঠ্যপুস্তকে নিয়ে এসেছিলাম।এবছর শিশুদের কাছে আরও সহজতর ভাবে শিশুদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে যাতে কোনও খামতি না থাকে।’’ ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বই দেওয়ার কাজ শেষ। গোটা বিষয়টি শিক্ষকরা কীভাবে পড়াবেন তা নিয়ে এর আগেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ও শিক্ষিকাদের। কিন্তু স্কুলেও যাতে গোটা বিষয়টিকে বুঝিয়ে পড়ানো হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের সে বিষয়েও জোরে দিতে চাইছে সিলেবাস কমিটি।
advertisement
অন্যদিকে এই প্রথম সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে শিশুদের যৌন প্রতিরোধ আটকাতে সচেতনতার পাঠ। সপ্তম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শরীর শিক্ষা বইতে এই অংশ নথিভুক্ত করা হল। এর আগে সাধারণত ছড়া হিসাবেই তা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এবার এই প্রথম বিভিন্ন আইনের সংস্থানকে উল্লেখ করে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হল। মূলত ‘‘যৌন অপরাধ বিরোধী শিশু সুরক্ষা আইন ২০১২’’ একাধিক অংশকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর এই বইতে ছবি-সহ বিভিন্ন আইনকে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি যৌন হেনস্থার শিকার হলে কী ধরনের শাস্তি, কোন কোন বিষয়কে যৌন হেনস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যৌন হেনস্তা প্রতিরোধে কী কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, অভিভাবকদের এক্ষেত্রে কীভাবে সচেতন হতে হবে, অভিভাবকদের জন্য শিশুদের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন গোটা বিষয়টি সিলেবাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগর মেলায় অসুস্থদের সাহায্য করতে প্রস্তুত হেলিকপ্টার
মোট চার পাতা জুড়ে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন ‘‘শিশুদের জন্য যেটা প্রয়োজন মনে করা হয়েছে সেটাই সিলেবাসে নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুদের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ যদিও অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই এই বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিলেবাসে। সাম্প্রতিক সময় রাজ্যের কয়েকটি স্কুলের যৌন হেনস্থার ঘটনাও ঘটেছে। একাংশের ধারণা, এই বিষয়গুলি নিয়ে শিশুরা পড়তে শুরু করলে তাদের মধ্যে সচেতনতার পাঠ আরও বাড়বে।