#BYJUSYoungGeniusSeason2 –তে এই সপ্তাহে যে খুদে জিনিয়াসদের সাথে পরিচয় হতে চলেছে, তাদের সম্পর্কে এখানে জেনে নিন।
কালারিপায়াত্তু পারদর্শী নীলাকান্দান নায়ারের সাথে আলাপ করে নিন -
10-বছরের নীলাকান্দান নায়ারের কাছে কালারিপায়াত্তু শুধুই মার্শাল আর্ট নয়, এটি হল তার জীবনের রসদ। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে সে এই প্রাচীন মার্শাল আর্ট শিখছে এবং চার বছরের শিক্ষাতেই সে অজস্র পুরস্কার জিতেছে।
advertisement
30 মিনিটে সবচেয়ে বেশি বার ব্যাকওয়ার্ড ওয়াকওভার (422 ব্যাকওয়ার্ড ওয়াকওভার) করে 2020 সালের ডিসেম্বরে, অ্যারাবিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছে নায়ার। এছাড়াও সে 2020 সালে শ্রী অথর্বাপ্পু গুরাক্কাল সামারাক কালাম সাভিত্তু সম্প্রদায়ম দ্বারা আয়োজিত কম্পিটিশন ভাদিকারাক্কাল সাব জুনিয়র বয়েজে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
নায়ার বর্তমানে আলাপুঝার একটি অ্যাকাডেমিতে কালারি শিখছে এবং ইতিমধ্যে সে নিজের পারদর্শিতা দেখিয়ে বিদ্যুৎ জামোয়াল, আনন্দ মাহিন্দ্রা এবং বাবা রামদেবের মতো বহু ব্যক্তিত্বের মন জয় করে নিয়েছে। এই এপিসাডে নায়ার তার ক্ষিপ্রতা দেখিয়ে অবাক করে দেবে বিদ্যুৎ জামোয়ালকে। এই খুদের প্রতিভাকে আরও ক্ষুরধার করে তোলার কাজে সাহায্য করতে বিদ্যুৎ এই ছোট জিনিয়াস এবং তার পরিবারকে পুরস্কার হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
লাঠি, ঢাল-তরবারির মতো অস্ত্র ব্যবহারে ইতিমধ্যে পারদর্শী হয়ে উঠেছে এই এপিসোডের খুদে জিনিয়াস এবং বর্তমানে সে ত্রিশূলের ব্যবহার শেখার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নায়ার সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় তথ্য হল, সে কালারি বিদ্যাকে সমস্ত মার্শাল আর্টের উৎস বলে মনে করে এবং তার লক্ষ্য হল এই শিল্পকে সম্পূর্ণ রূপে আত্মস্থ করা। এই খুদের এর প্রশিক্ষকের কথায়, বয়সে ছোট হলেও নায়ার সব সময় শেখার বিষয়ে উৎসাহী এবং যে কোনও কঠিন জিনিস রপ্ত করার জন্য অসম্ভব পরিশ্রম করে।
সবুজায়নের যাত্রায় যোগ দিন পরিবেশ-যোদ্ধা প্রসিদ্ধি সিংয়ের সাথে -
মাত্র নয়-বছর বয়সেই তামিলনাড়ুর চেঙ্গালপাত্তুর বাসিন্দা প্রসিদ্ধি সিং দেশের সবচেয়ে প্যাশনেট পরিবেশ-যোদ্ধা হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই 4400টি বৃক্ষরোপণ করে সাতটি জঙ্গল তৈরি করে সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে 2020 সালে নাম তুলেছে। কিন্তু এখানেই সে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেয়নি, বরং সে আরও বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় 23,000 বৃক্ষরোপণ করার পরে, সিংয়ের লক্ষ্য হল এই বছর শেষ হওয়ার আগেই, এক লক্ষ বৃক্ষরোপণ করা।
বৃক্ষরোপণ করার পক্ষপাতী এই খুদে পরিবেশবিদ তার দাদুর সহযোগিতায় 2020 সালে প্রসিদ্ধি এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ছোট বালিকার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেকে বৃক্ষরোপণ, বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন, এছাড়াও নীম, ভস্ম এবং কলার খোসা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা এবং প্রাকৃতিক কীটনাশক তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন। এই এপিসোডের তারকা অতিথি বিদ্যুৎ জামোয়ালের কাছে প্রসিদ্ধি তার G3 প্রোজেক্ট ব্যাখ্যা করবে। এখানে তিনটি G-এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ‘অক্সিজেন উৎপাদন করা (জেনারেট অক্সিজেন)‘, ‘নিজের খাবার উৎপাদন করা (গ্রো ইওর ওন ফুড)‘ এবং ‘সমাজকে ফিরিয়ে দেওয়া (গিভব্যাক সোসাইটি)‘। ছোট্ট প্রসিদ্ধির এই লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন অভিনেতা বিদ্যুৎ জামোয়াল এবং তিনিও এই খুদের লক্ষ্যপূরণে সামিল হওয়ার জন্য 100টি বৃক্ষরোপণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই খুদে পরিবেশ-যোদ্ধার প্রশংসা করে পাঠানো ছোট-ছোট ভিডিওগুলি দেখে দর্শকদের মন ভরে যাবে।
এই খুদে জিনিয়াস ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল 2021 সালে সমাজ সেবা বিভাগে পাওয়া প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার। এছাড়াও চেন্নাইয়ের সমাজ উন্নয়ন দপ্তর তাদের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও‘ স্কিমের জন্য তামিলনাড়ুর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিযুক্ত করেছে ছোট্ট প্রসিদ্ধিকে। অন্যদিকে, প্রায় এক ডজন দেশে গড়ে উঠেছে তার পরিবেশ-সেনা এবং স্থানীয় পরিবেশে সবুজ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেই সমস্ত দেশে ফলগাছের জঙ্গল গড়ে তুলেছে তার অনুগামী সেনারা।
এই এপিসোডে দেখুন দুইটি ভিন্ন ক্ষেত্রে দুই খুদের লড়াইয়ের কাহিনী, একজন লড়ছে প্রাচীন মার্শাল আর্টে পারদর্শী হয়ে ওঠার জন্য এবং অপর জন লড়াই করছে পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তোলার জন্য, এই এপিসোড নিঃসন্দেহে Network 18 –এর উদ্যোগে শুরু হওয়া BYJUS Young Genius সিজন 2-এর সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক এপিসোড হতে চলেছে। কারণ, এই একরত্তি বয়সেই যদি এরা এমন প্রতিভার বিকাশ দেখায়, তাহলে নিঃসন্দেহে তাদের দেখে আশপাশে থাকা মানুষ এবং প্রাপ্তবয়স্করাও অনুপ্রাণিত হবেন এবং আশা করা যায়, এই পৃথিবী হয়তো সকলের প্রয়াসে আরও সুন্দর হয়ে উঠবে, তাই না?
News18 নেটওয়ার্কের সাথে থাকুন এবং #BYJUSYoungGeniusSeason2 –এর এই এপিসোডটি দেখতে একদম ভুলবেন না, কারণ ভুললেই মিস।