তিনি বললেন, এখন এতটাই শেষ মুহূর্ত যে আলাদা করে বলার আর কিছু নেই। তবে শুধু শহরের পড়ুয়াদের কথা ভাবলেই তো হবে না, ভাবতে হবে গ্রামের পড়ুয়াদের কথাও। কোভিড কালের কারণে গ্রামবাংলার পড়ুয়ারা পড়াশোনার দিক থেকে হয়ত অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। সেই কারণে শেষ মুহূর্তের সাজেশন কতটা কী কাজে লাগাতে পারবে তারা, সে আমার জানা নেই। তবু আমার যেটুকু বলার, বলছি।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের চাকায় ওটা কী আটকে? মানুষের পা নাকি? হাড়হিম ঘটনা হাড়োয়ায়! বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন
প্রথমত এই বছর তো সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তাই ফিজিক্যাল অংশ বা প্রাকৃতিক ভূগোলের অংশ থেকে নদীর কার্য, বায়ুর কার্য ও হিমবাহের কার্য, এই তিনটি অংশ রয়েছে। এই তিনটি ছোট অধ্যায় মিলে একটা বড় অধ্যায় হয়েছে। সেই অধ্যায়টি খুঁটিয়ে পড়তে হবে।
যেহেতু প্রাকৃতিক ভূগোলের অনেকটা অংশ কমে গিয়েছে, সেহেতু আমার মনে হয় না কোনও অংশই বাদ দেওয়া উচিত হবে। উত্তর লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে, প্রত্যেকটি ভূমিরূপের সঙ্গে উদাহরণ ও ছবি দেওয়ার বিষয়টি। ভূগোলে একটা কথা নতুন করে বলার দরকার নেই যে প্রতিটি উত্তরের সঙ্গে ছবি দেওয়া এক অন্য গুরুত্ব বহন করে। বিশেষত ৫ নম্বর ও ৩ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ছবি আঁকতেই হবে। ছবি আঁকলে তা পরীক্ষকের মন কেড়ে নেবে। নম্বর ভাল আসবে।
আরও পড়ুন: ধুয়েমুছে গেলেও নৈতিক জয় দেখছেন দিলীপ ঘোষ, বামেদের 'উত্থানে' তৃণমূলের হাত?
ভারতের অংশে যা রয়েছে, তাতে গত কয়েকবছরের সাজেশন দেখে নেওয়া দরকার। ভারতের নদনদী থেকে প্রশ্ন আসে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভূগোলে হিমবাহ ও নদীর কাজের পার্থক্য, গিরিখাত বা ক্যানিয়নের পার্থক্য, কিংবা নর্মদা ও তাপ্তি নদী কেন পশ্চিম উপকূলে ব-দ্বীপ সৃষ্টি করেনি, এগুলি তিন নম্বরের জন্য পড়ে রাখা দরকার। এ ছাড়া, পাঁচ নম্বরের জন্য ভারতের অংশ থেকে পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি ও পূর্ব উপকূলীয় সমভূমির তুলনামূলক আলোচনা, উত্তর ভারতের নদনদী ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর তুলনামূলক আলোচনা পড়ে রাখা দরকার। এছাড়া জনসংখ্যার অধ্যায় থেকে অসম জনবন্টনের তারতম্য আলোচনা করা বা শিল্প থেকে পূর্ব মধ্য ভারতে কেন লৌহ-ইস্পাত শিল্প কারখানাগুলি কেন্দ্রীভূত হয়েছে, কেন পশ্চিম ভারতে বস্ত্র বয়ন শিল্প কেন্দ্রীভূত হয়েছে, এমন কয়েকটি চেনা প্রশ্ন পড়ে যেতে হবে। ফসলের ক্ষেত্রে, ধান, গম, ইত্যাদি বিষয়ক প্রশ্নতে সহজে নম্বর ওঠে। এগুলো যেটুকু বইতে আছে, সেগুলো পড়ে, আর উত্তর দেওয়ার সময় ছোট করে ভারতের মানচিত্র এঁকে যদি চিহ্নিত করে দেওয়া যায়, যদি উৎপাদক অঞ্চল দেখানো যায় তাতে ভাল নম্বর ওঠে। এই অধ্যায়, যেগুলো থেকে ফ্ল্যাট প্রশ্ন আসে, সেগুলোকে উল্টে পাল্টে দেখলে ভাল হয়।
ভারতের ক্ষেত্রেও বলব, ভারতের যে অংশের উত্তর করছে পড়ুয়ারা, সেই অংশটিকে যদি মানচিত্রে চিহ্নিত করা যায়, উত্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, তাহলে ভাল হয়। একটি ছোট্ট বাক্স করে , ফ্রেমের মধ্যে রেখে যদি চিহ্নিত করে দেওয়া যায়, তাহলে ভাল হয়। খুঁটিয়ে টেস্কট বই পড়তে হবে। মাধ্যমিকে কঠিন প্রশ্ন আসে না। আমার মনে হয়, কনসেপ্টের দিকটি খেয়াল রাখলেই প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়। আর ম্যাপ পয়েন্টিংয়ের জন্য যদি বিগত কয়েক বছরের মাধ্যমিকের প্রশ্ন ও টেস্ট পেপার সলভ করা যায়, সেখান থেকেও কমন পাওয়া যায়।