TRENDING:

First IAS Officer India: ইনি ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার, গর্বিত বাঙালি! ছবি দেখে চিনতে পারছেন? বলুন তো কে?

Last Updated:

First IAS Officer India: তাঁর কৃতিত্ব আজও বর্তমানের তরুণ তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে, যাঁরা ভারতের ইউপিএস পরীক্ষায় যোগদান করতে চলেছেন। জানুন, বাঙালি হিসেবে গর্ব হবে আপনার...

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার। একজন সরকারি কর্মচারী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সুরকার, কবি, লেখক এবং সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। তাঁর কৃতিত্ব আজও বর্তমানের তরুণ তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে, যাঁরা ভারতের ইউপিএস পরীক্ষায় যোগদান করতে চলেছেন।
ভারতের প্রথম আইএএস
ভারতের প্রথম আইএএস
advertisement

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসারের প্রাথমিক জীবন –

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৪২ সালের ১ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন। বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে সুপরিচিত বিশিষ্ট ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণকারী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বড় ভাই, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতোই উদার, বহুগুণসম্পন্ন ছিলেন এবং প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার অধিকারী ছিলেন।

advertisement

তিনি ব্রাহ্ম সমাজের প্রগতিশীল আদর্শ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন, এই ব্রাহ্ম ধর্ম সেই সময়ে একেশ্বরবাদ, শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক সংস্কার, নারীর ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়েছিল এবং বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।

আরও পড়ুন: সন্তানকে সৈনিক স্কুলে ভর্তির ৭ অবিশ্বাস্য সুবিধা, সাধারণ স্কুলের শিক্ষার্থীদের থেকে অনেক এগিয়ে পড়ুয়ারা! খুঁটিনাটি জানুন

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার শিক্ষা

advertisement

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ব্রিটিশ ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রধান কেন্দ্র হওয়ায় কলেজটি তাঁর মন এবং চিন্তাভাবনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্য, দর্শন এবং সমাজ বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলিতে অ্যাকাডেমিকভাবে পারদর্শী ছিলেন।

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসারের যাত্রাপথ –

১৮৬২ সালে, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেস (আইসিএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে যান, যা তখন লন্ডনে একচেটিয়াভাবে পরিচালিত হত। প্রক্রিয়াটি ছিল কঠিন এবং বিশেষ করে ব্রিটিশ প্রার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছিল। ১৮৬৩ সালে, তিনি ভারতের প্রথম সিভিল সার্ভেন্ট হয়ে সমস্ত বর্ণগত বাধা ভেঙে ফেলেন। এটি ভারতের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের একটি বিশেষ মুহূর্ত হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল এবং অন্যান্য ভারতীয়দের জন্য পথ প্রশস্ত করেছিল যাঁরা তাঁদের শাসন কাঠামোর মধ্যে দেশের সেবা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্ণগত বৈষম্য এবং সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়েও, তাঁর অদম্য চেতনা এবং ইতিবাচক পরিবর্তন আনার উদ্যোগ তাঁকে ব্রিটিশদের মধ্যে নিজের পথ চলতে সাহায্য করেছিল।

advertisement

আরও পড়ুন: বিষাক্ত সাপ কামড়ালে এই একটি ভুল কখনই করবেন না! নিজের মৃত্যু দিয়ে বুঝিয়ে গেলেন বর্ধমানের যুবক! কী ঘটল জানেন?

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসারের সামাজিক অবদান –

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার হওয়ার পাশাপাশি, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। ঠাকুর পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি ছোট থেকেই নানা ভাষায় পারদর্শী ছিলেন, দার্শনিকতা তাঁর মূল্যবোধকে আলাদা মাত্রা দিয়েছিল। তাঁর প্রবন্ধগুলি সাংস্কৃতিক আধুনিকীকরণ এবং লিঙ্গ সমতার মতো সাহসী বিষয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিন্তাভাবনাকে একত্রিত করে।

advertisement

তিনি রুমি, হাফিজ, শেক্সপিয়ার এবং বায়রনের রচনাগুলি বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন। যার ফলে সাধারণ মানুষের বৌদ্ধিক দিগন্ত প্রসারিত হয়েছিল। তাঁর গানগুলি ভারতীয় রাগগুলিকে পাশ্চাত্য সুরের সঙ্গে একত্রিত করেছিল। তাঁর তৈরি ‘মিলে সবে ভারত সন্তান, একতান গাও গান’ গানটিকে প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রশাসনে থাকাকালীন, তিনি নারীর ক্ষমতায়ন এবং বর্ণপ্রথা নির্মূলে আইনি নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রথম মহিলা আইএএস অফিসারের কথাও বলতে হয়!

ভারতের প্রথম আইএএস অফিসারের অনেক পরে ১৯৫১ সালে প্রথম মহিলা আইএএস অফিসার আন্না রাজম মালহোত্রা দায়িত্বে আসেন। মাদ্রাজ ক্যাডারের একজন আইএএস অফিসার তিনি, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মজীবনে তিনি ২ জন প্রধানমন্ত্রী এবং ৭ জন ভিন্ন ভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন।

প্রাথমিক জীবন –

১৯২৪ সালে কেরলের এর্নাকুলাম জেলায় জন্ম, এর পর আন্না কোঝিকোড়ে তাঁর শিক্ষাজীবন শেষ করেন এবং ইংরেজি সাহিত্যে ডিগ্রি কোর্সের জন্য মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। ২৫ বছর বয়সে তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং প্রথম প্রচেষ্টায় উত্তীর্ণ হন। সামাজিক রীতিনীতি তাঁকে আইএফএস বেছে নিতে বাধ্য করলেও, তিনি আইএএস বেছে নেন এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সি. রাজগোপালচারীর অধীনে মাদ্রাজ রাজ্যের তিরুপাত্তুরের সাব-কালেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম মহিলা সচিব হন, যা ভবিষ্যতের মহিলাদের জন্য একটি নজির স্থাপন করে।

এক ঝলকে কৃতিত্ব –

– সেই সময়কালে ভারতে বেশ কয়েকটি অবকাঠামোগত প্রকল্পে আন্না গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

– চেয়ারপার্সন হিসেবে তিনি জওহরলাল নেহরু বন্দরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

– মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন যা আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছিল এবং ভারতের প্রথম ৬ লেনের কংক্রিট মহাসড়কগুলির মধ্যে একটি ছিল।

– ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসের আয়োজনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন।

– অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

– বৈচিত্র্যময় এবং অগ্রণী ভূমিকা, অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৯ সালে তিনি পদ্মভূষণে ভূষিত হন।

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
First IAS Officer India: ইনি ভারতের প্রথম আইএএস অফিসার, গর্বিত বাঙালি! ছবি দেখে চিনতে পারছেন? বলুন তো কে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল