পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে সোমবার এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। এজলাসে দাঁড়িয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, "বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র - শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছেনা। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন।"এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন রিপোর্ট পেশের৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন' কমিশনকে উদ্দেশ করে মন্তব্য বিচারপতির!
নির্দেশ দেওয়া হয়, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শককে সমগ্র পুরুলিয়া জেলার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রের আনুপাতিক হার কত সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে হাইকোর্টে। এদিন শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন,''খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ ছাত্র আছে সেখানে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষককে স্থানান্তরের অনুমতি। এর পেছনে অন্য বিষয় আছে। এখন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক!''
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে TET-এর প্রশ্নপত্র নিয়ে আরও 'কড়া' পর্ষদ, নয়া নির্দেশিকায় বড় চমক!
দু সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সমস্ত স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রের আনুপাতিক হার কত সেই রিপোর্ট জমা করতে হবে হাইকোর্টে। জমা করবেন পুরুলিয়া জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক। পুরুলিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। সবাই স্থানান্তর চেয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। শিক্ষকের অভাবে বহু স্কুল বন্ধের মুখে। ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ ছাত্রের জন্য ১৩ জন শিক্ষক যথেষ্ট নয়। আদালতে জানান স্কুল পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র মাল । 'আমি দেখছি, এরা শিক্ষক নয় এদের চাকরি থেকে অবসর নেওয়া উচিত' মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু'র৷ সোমনাথ মণ্ডল নামে পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষকের স্থানান্তরের আবেদনের শুনানি চলাকালীন মন্তব্য বিচারপতির। পরবর্তী শুনানি ২০ জানুয়ারি।