মূলত বিভিন্ন সময় প্রার্থনা সভায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে যে সমস্ত দায়িত্ব পালনের কথা পর্ষদ বলেছে সেই দায়িত্ব পালন করছে না স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে কর্মচারীরাও। এর জেরে স্কুলের পরিবেশ ও পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে চিঠি দিয়েছে পর্ষদ।
advertisement
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে দেওয়া চিঠিতে তাই স্কুলে যাতে ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকে তার জন্য স্কুলের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে যাতে পঠন-পাঠনের পরিবেশ বজায় রাখা ও পারস্পারিক সম্মান বজায় রাখেন সেই বিষয়েও অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।
আরও পড়ুন – অনন্ত-রাধিকার বিশেষ দিনে সকলের চোখ শাহরুখের দিকেই! ডোয়েন ব্র্যাভোর সঙ্গে বাদশার ছবি ভাইরাল
চিঠিতে রাজ্যের শিক্ষায় কী অবদান রয়েছে সেই বিষয়ে সম্পর্কেও তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে “পশ্চিমবঙ্গ চিরকাল শিক্ষার জগতে আলো দেখিয়ে এসেছে এবং একটা উচ্চস্থান বজায় রেখেছে। তাই সেই দিন ফিরে আসুক।”
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর বারবার পর্ষদের তরফে স্কুল চলাকালীন মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার কথা বললেও সেই অভিযোগ এসেই চলেছে পর্ষদে। স্কুল চলাকালীন বা ক্লাস চলাকালীন যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা হয় তার জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরাও মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে আসছেন। এই প্রবণতাও আটকানোর জন্য পর্ষদের তরফে এই কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলেও পর্ষদ সূত্রে খবর। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত যাতে অভিভাবক অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বৈঠক হয় সে বিষয়েও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়