প্রত্যেক বছরই কিছু আসন ফাঁকা থেকে যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে সেই সংখ্যা এ বারের মতো নয়, জানিয়েছেন খোদ কর্তৃপক্ষই। বিশ্ববিদ্যালয় মনে করছে, চলতি বছর রাজ্য জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বিলম্বই এত বেশি আসন ফাঁকা থাকার নেপথ্য কারণ। যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, “দেরি করে কাউন্সেলিং শুরুর প্রভাব কতটা পড়েছে তা বোঝা গেল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এত আসন ফাঁকা থাকার কথা নয়। ভর্তি প্রক্রিয়ায় যত দেরি হবে তত মেধাবী পড়ুয়ার সংখ্যা কমবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পুরীতে সমুদ্রের ধারে প্রেমিকের সামনে কলেজ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! ভয়াবহ ঘটনা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মোট আসন সংখ্যা প্রায় ১৩০০। ১৬টি বিভাগ রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার পর প্রায় ১০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়ে গেল যাদবপুরে। এই ফাঁকা আসন যাতে দ্রুত পূরণ করা যায়, সে জন্য এ বার বিকেন্দ্রীকরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল উচ্চশিক্ষা দফতর। অর্থাৎ এ বার সরকারি এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি নিজেদের শূন্য আসনগুলিতে নিজেরাই কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে। গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শূন্য আসন পূরণ করা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যুর তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে প্রত্যেকটি ঝিল বা পুকুরের ধারে ফেন্সিং লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যত্রতত্র জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরো ৭০ টি সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই সেই সিসিটিভি বসানোর অর্থ চেয়ে চিঠি দেওয়া হল, আরো একবার চিঠি দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সন্ধ্যের পর যাতায়াত নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সোমবারের বৈঠকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়