এরই সঙ্গে, গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য যেভাবে স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে তার প্রভাবে পঠন-পাঠনের যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে সিলেবাস কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে পরিকল্পনার। মূলত, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত কী ভাবে এই ক্ষতির সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়ার কথা সিলেবাস কমিটির পাশাপাশি বোর্ডগুলিকে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য চাইছে প্রথম দফায় নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ-এর ক্লাস চালু করতে। সে ক্ষেত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কী পরিকল্পনা এই বিষয় নিয়ে তা নিয়েও বিস্তারিত রিপোর্ট দুই বোর্ডকেই দিতে বলা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে বিরাট খবর, সভাপতির বড় জরিমানা! খুলল আরও চাকরির দরজা...
এ বছরে করোনা পরিস্থিতির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুটো পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে আগামী বছর যদি এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ কী ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে বলেই সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা সচিবের বৈঠকের পর ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। প্রসঙ্গত চলতি বছরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগেই দুই বোর্ড পরীক্ষা যদি হয় তাহলে কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং পরীক্ষার্থী যদি না হয় তার বিকল্প ভাবনা কী, তা নিয়ে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে শিক্ষা দফতর। তবে করোনা বিধি মেনে কী ভাবে ক্লাস চালু করা সম্ভব তার দিকেই আপাতত প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। সে ক্ষেত্রে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চালুর কথা প্রাথমিকভাবে করা হলেও ধাপে ধাপে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস এর কথাও ভাবছে রাজ্য সরকার। শীঘ্রই এই বিষয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে বসবেন বলেও জানা গেছে।
