পর্ষদের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৭৮৩৭৬ জন পরীক্ষার্থী প্রথম ভাষায় অর্থাৎ বাংলাতে ৯০-১০০ এরমধ্যে নম্বর পেয়েছে। দ্বিতীয় ভাষা অর্থাৎ ইংরেজিতে ৬৬৯০৩ জন পরীক্ষার্থী ৯০ থেকে ১০০ এর মধ্যে নম্বর পেয়েছে। অঙ্কে ৪৮২২৭ জন পরীক্ষার্থী ৯০ থেকে ১০০এর মধ্যে নম্বর পেয়েছে। ভৌত বিজ্ঞানে ৫০৮৫৪ জন পরীক্ষার্থী ৯০ থেকে ১০০ এর মধ্যে নম্বর পেয়েছে। জীবন বিজ্ঞানে ৭৭১২০ জন পরীক্ষার্থী ৯০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছে। ইতিহাসে ৭৪৮৬০ জন পরীক্ষার্থী ৯০ থেকে ১০০ মধ্যে নম্বর পেয়েছে। ভূগোলে ৮৩২৮৯ জন পরীক্ষার্থী ৯০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছে।
advertisement
পর্ষদ সূত্রের খবর অতীতে এই ধরনের নজির ছিল না এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ৯০ থেকে ১০০ শতাংশের এর মধ্যে নম্বর পাওয়ার। উল্লেখযোগ্যভাবে অংকতে যেমন এএ গ্রেড প্রাপকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে তেমনি কলকাতা থেকে ৯০ থেকে ১০০ নম্বরের প্রাপকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে না তা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে কিভাবে ছাত্রছাত্রীরা নম্বর দেওয়া হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।২০১৯ সালের নবম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর ও ২০২০ সালের দশম শ্রেণীর ইন্টার্নাল ফর্মতিভ এভালুয়েশন এই দুয়ের নিরিখেই এবছর ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিকের নম্বর দেওয়া হয়েছে।৫০-৫০ অনুপাতেই ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর দেওয়া হয়েছে এবারে মাধ্যমিকে।
পর্ষদ সভাপতি অবশ্য এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও এবছর সর্বোচ্চ নম্বর হয়েছে ৬৯৭। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন "৭৯ জন পরীক্ষার্থী এবছর সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।" পর্ষদ সূত্রের খবর ১ থেকে ১০ তম স্থান পর্যন্ত যদি মেধা তালিকা প্রকাশ হতো তাহলে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী মেধা তালিকায় স্থান পেত। যদিও এবছর মাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ না হওয়ায় পর্ষদের তরফের বিস্তারিতভাবে কিছু বলা হয়নি। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার স্কুল মারফত অভিভাবক অভিভাবিকারা মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
-সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়