তবে এবার সেই কলেজগুলির অনুমোদন কেন বাতিল হল তা নিয়ে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ শিক্ষা মন্ত্রী। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন “পরিযায়ী উপাচার্যরা এই ধরনের অনেক সিদ্ধান্তই নিচ্ছেন। কেন এই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করা হল তা আমাদের দফতরের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে দেখা হবে।”
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে ডাবল ধমাকা! যাত্রীদের দারুণ উপহার দিচ্ছে ভারতীয় রেল, জানেন কী কী
advertisement
শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়েই তদন্ত শুরু করবে রাজ্য? যদিও রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে ৬২৪টি বিএড কলেজের মধ্যে ২৫৩ টি বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়াকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
বিশেষত যারা শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেন তাদেরই যদি প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকে, তাহলে তারা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কীভাবে দেবেন? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। বি. এড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শুক্রবার দাবি করেছিলেন “আমরা একাধিকবার কলেজগুলিকে জানিয়েছিলাম এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক হতে। তারপরেও কলেজগুলি তা না করায় আমরা এই অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।”
আরও পড়ুন: চন্দননগরের আলোয় সেজেছে অযোধ্যার রাম মন্দির! আলোর খরচ শুনলে চোখ কপালে উঠবে
যদিও বেশ কয়েকটি কলেজ আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় দাবি আদালত কলেজগুলির দাবি খারিজ করে দিয়েছে। তবে শনিবারের শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএড বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “আমি পরিযায়ী কোথায় হলাম? ২০২২ সালে ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।”
যদিও বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, চলতি শিক্ষা বর্ষের জন্য এই কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করা হলেও আগামী বছর তাদের কাছে সুযোগ থাকছে নতুন করে অনুমোদন নেওয়ার। সেক্ষেত্রে যে বিষয় গুলির জন্য তাদের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে তাদেরকে সেই বিষয়গুলিকে সংশোধন করতে হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়