বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফের নির্দেশিকা জারি করেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফের যদি কোন স্কুল নম্বর জমা দিতে ভুল করে বা গাফিলতি করে তাহলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিনের নির্দেশিকায় স্কুলগুলিতে ফের সতর্ক করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার শেষ সময় সীমা ছিল নবম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর জমা দেওয়ার। প্রায় কুড়ি হাজার ছাত্রছাত্রীর নম্বর জমা পড়া এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। পাশাপাশি প্রত্যেকটি স্কুলই নম্বর জমা দিয়েছে। যদিও যে স্কুলগুলির তরফ এ ভুল নম্বর জমা দিয়েছে সেই স্কুল গুলিকে ফের আরও একবার সুযোগ দিতে চাইছে পর্ষদ।
advertisement
পর্ষদ সূত্রের খবর, নবম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর যে সমস্ত স্কুল থেকে ইতিমধ্যেই পর্ষদের ওয়েবসাইট মারফত জমা পড়েছে বেশ কিছু স্কুলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে নম্বরের ক্ষেত্রে গাফিলতি করা হয়েছে। সেই স্কুলগুলি কেউ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল গুলির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শাস্তিমুলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের কিভাবে মূল্যায়ন করে নম্বর দেওয়া হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। নবম শ্রেণির পরীক্ষার নম্বর এর পাশাপাশি দশম শ্রেণীর ইন্টার্নাল সামেটিভ ইভালুয়েশন দুটি কে যুক্ত করে মাধ্যমিকের নম্বর দেওয়া হবে। দুটি ক্ষেত্রেই ৫০% গুরুত্ব দেওয়া হবে মাধ্যমিকের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে। জুলাই মাসের মধ্যেই মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের করা হবে তা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্ষদের আধিকারিকদের মতে স্কুল গুলি যদি দেরি করে নম্বর জমা দিতে ভুল নম্বর জমা দেয় সেক্ষেত্রে ফলাফল প্রকাশ করতে পর্ষদের আরো দেরী হতে পারে। তার জন্যই এবার স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব এ পথেই হাঁটছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।