বিশ্ববিদ্যালয় চিরকুট কালচারে দুর্নীতি হয়েছে বলে সরব হলেন তিনি। তিনি বলেন “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে। বিভিন্ন মিটিং হয় চিরকুট কালচারে। সই হয়ে যাচ্ছে অথচ রেজোলিউশন লেখা হয় না। আলোচনা হয়ে যাচ্ছে এক অথচ রেজোলিউশন হচ্ছে আর এক। আমি সেগুলোকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম বলে আমার উপর এই খাড়া গুলো নেমে এসেছে নাকি সেটা আমি জানি না।”এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়েই সরব হলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
চিরকুট নিয়ে চাকরি এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি। বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে চিরকুট নিয়ে চাকরির অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। চিরকুট নিয়ে চাকরির তত্ত্ব তুলে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে থাকা বুদ্ধদেব সাউয়ের এই মন্তব্য এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চিরকুটে দুর্নীতির প্রতি আঙুল তুলল বলেই মনে করছে একাংশ।
আরও পড়ুন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সন্দেশখালিতে ইডির উপর আক্রমণ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
আরও পড়ুন, সন্দেশখালির ঘটনায় চড়ছে রাজনীতির পারদ, আজই জরুরি বৈঠকের ডাক মুখ্যসচিবের
যদিও তিনি এর দরুন এর আগের উপাচার্যদের উপর অনাস্থা প্রকাশ করছেন নাকি? তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন “অবশ্যই। আমি তো বলছি তদন্ত করে দেখুন না। এটাকে আমি প্রতিবাদ করছি।”প্রসঙ্গত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকতে পারবেন না বুদ্ধদেব সাউ তা নিয়ে শুক্রবার রাজভবনের চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে।
শুধু তাই নয় তার কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ রাজ ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও সহ উপাচার্যকে। তারও পাল্টা চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতর দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টারকে। চিঠিতে বুদ্ধদেব সাউ যে উপাচার্য থাকছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। সব মিলে উপাচার্যের পদে বুদ্ধদেব সাউ এর থাকা নিয়ে ফের তাপ উত্তাপ বাড়ছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়