TRENDING:

Education Interface: বদলে যাচ্ছে পেশা, তাল মেলাতে বদলাচ্ছে শিক্ষা, কোন শিক্ষায় সুযোগ আছে? খোঁজ মিলছে 'নেতাজি ইনডোর'-এ

Last Updated:

কলকাতার নেতাজি ইনডোরে কলকাতা প্ল্যানার আয়োজন করেছে কেরিয়ার ফেয়ার 'এডুকেশন ইন্টারফেস'

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: একটা সময়ে যে শিক্ষার চাহিদা ছিল, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ সেই পেশা অবলুপ্ত। আবার এমন অনেক কাজ সৃষ্টি হয়েছে যেখানে লোক পাওয়া কঠিন। এদিকে প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কিছু মানুষ চাকরি খুঁজছে। তাহলে উপায়? সঠিক রাস্তা খুঁজে বের করা। রাস্তা দেখাবে কাউন্সিলর। কলকাতার নেতাজি ইনডোরে কলকাতা প্ল্যানার আয়োজন করেছে কেরিয়ার ফেয়ার 'এডুকেশন ইন্টারফেস'। তিনদিন ধরে চলবে এই ফেয়ার। শনিবার এই কেরিয়ার ফেয়ারের সূচনা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও হুমায়ুন কবীর
advertisement

হুমায়ুন কবীর বলেন, "যুগের সাথে শিক্ষা সিস্টেমের পরিবর্তন হচ্ছে। শিক্ষা নিয়ে পৃথিবী জুড়ে আলোচনা চলছে৷ সংবিধানে শিক্ষা অধিকার। ভারতের সভ্যতা। ৩০ বছর আগে যে শিক্ষার নাম শুনিনি, তা এখানে এসে গিয়েছে। আমাদের কেউ গাইড করতো না। এখন কাউন্সিলিং হয় ছাত্রদের। কী করলে সে ভাল করবে। কোন বিষয়ে আগ্রহ আছে। কাউন্সিলিং করে সেটা জানা সম্ভব।''

advertisement

শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পরিবর্তনটাই সত্য। বিবর্তনটা বিজ্ঞান। ছাত্রছাত্রীদের পথ দেখানো। আজকের দিনে ১২ লক্ষ্য মাধ্যমিক দিয়েছে। পাশ করেছে ৮৬%। সব শিক্ষিত বেকার তৈরি হয়ে যাবে। এর পর উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, এমএ। এত ছাত্র বের হচ্ছে। কেউ দিশা দেখানোর নেই। রোজ চাকরির জন্য আসে। গ্রাজুয়েট হয়ে এসেছে। এমএ পাশ করলে চাকরি পাওয়া যায় না। কোথায় গেলে কী হবে। জানতে হবে। সেল্ফ এম্পোয়মেন্ট প্রয়োজন। আমার দফতর দুটো বিশ্ববিদ্যালয় চালায়। আমরা বলছি ব্যবসার সুযোগ আছে। আর যারা বাইরে আছো তাঁদের বলব, বাংলাকে ভুলো না। বাংলায় অনেক সুযোগ। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে। আর বাইরে যাওয়ারও দরকার নেই। বরং বাইরে থেকে লোকে এখানে আসছে।"

advertisement

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সুরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, "আমরা বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তির যুগে বাস করি। আমি ছাত্রছাত্রীদের বলব, পুরনো ভাবনা ভেব না। যে দেশগুলো স্বাধীন হয়ছিলো আমাদের সঙ্গে সেই তুলনায় আমরা অনেক এগিয়েছে। রাজ্যে কন্যাশ্রী হয়েছে। আরও অনেক কিছু হয়েছে আগামী দিনে যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখানে দুই বিশ্ববিদ্যালয় সামনের সারিতে থাকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯জন ছাত্র এক কোটি টাকার চাকরি পেয়েছে। আর কোথায় আছে এরকম? ছেলেমেয়েদের বলবো রাজ্যকে ভুলে যেও না। দেখতে হবে যেনো বিজ্ঞান প্রযুক্তি মানুষের কাজে লাগে।''

advertisement

আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনলোজির ভিসি সৈকত মিত্র বলেন। "এটা কোভিটের জন্য বন্ধ ছিলো। এই শতাব্দীতে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে। পেশার পরিবর্তন হচ্ছে। যারা এখন স্কুলে পড়ছে। পরে দেখবে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এখন এখানেই ভালো পড়াশোনা হয়। আগে পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে পরাশোনা করতে হতো। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কাউন্সিলিং করে। এখানে অবিভাবকরা এলে এখানে আলোচনা করতে পারবেন৷ এখন এক শিক্ষা দিয়ে হবে না। পরিবর্তন করতে হবে।"

advertisement

UJJAL ROY

বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
Education Interface: বদলে যাচ্ছে পেশা, তাল মেলাতে বদলাচ্ছে শিক্ষা, কোন শিক্ষায় সুযোগ আছে? খোঁজ মিলছে 'নেতাজি ইনডোর'-এ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল