রাজ্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বিশেষত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কীভাবে নতুন পাঠ্যক্রম ও রুপরেখা তৈরি করা যায়, তারই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই ছয় সদস্যের কমিটিকে। গত শনিবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন "চার বছরে স্নাতকের পাঠক্রম চালু হবে নাকি এই নিয়ে কোন কথা বলব না। চার বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে উপাচার্যদের নিয়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কীভাবে কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে সেই কমিটি মতামত দেবে। তারপরই এই বিষয় নিয়ে যা বলার বলব।"
advertisement
আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত মমতার, সাগরদিঘির ফলের পরই মন্ত্রিসভায় করলেন জরুরি রদবদল
এর পাশাপাশি চার বছর ধরে স্নাতকের পাঠক্রম চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো সমানভাবে রয়েছে নাকি তা নিয়েও গত শনিবার প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। গত শনিবার তিনি বলেছিলেন "এই নির্দেশিকা নিয়ে আমরা বলতে পারি পরিকাঠামোর জন্য যে প্রচুর টাকা দরকার সেই বিষয়ে ইউজিসি নীরব রয়েছে। সেই অর্থের ক্ষেত্রে পরিষ্কার নির্দেশিকা চাই।" প্রসঙ্গত রাজ্যে একাধিক নয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে কীভাবে ৪ বছরে স্নাতকের পাঠক্রম চালু করা যেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা চায় উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: 'সব বাম নেতাদের বাড়ির লোক-স্ত্রী'রা চাকরি পেয়েছে', বিস্ফোরক মন্ত্রী! সামনে ৫ নামও
যদিও সম্প্রতি মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠকে উপস্থিত থেকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন সুপারিশ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর করা না গেলে আগামিদিনে রাজ্যে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারে। যদিও গত ১৭ মার্চ উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টারকে চিঠি পাঠিয়ে ইউজিসি-র দেওয়া চিঠি যুক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আপাতত ইউজিসির সেই পাঠক্রম কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজ্য ধীরে চলার নীতি নিল। আপাতত বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের ওপরেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষার পাঠক্রমের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।