যদিও বোর্ডের তরফে আগে বলা হয়েছিল যে, বোর্ড তার নিজস্ব স্কুলগুলিকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে পরবর্তীতে মহামারী ও অন্যান্য কারণে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সিবিএসই ঘোষণা করেছে, এখন শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান আবাসক্ষেত্রের উপর নির্ভর করে তাদের শহর বা পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন করতে পারবে। এতদিন মহামারীর সংক্রমণ এড়াতে স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসগুলি অনলাইনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল এবং অনেক শিক্ষার্থী এর মধ্যেই নানা কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই সব বিবেচনা করেই, সিবিএসই শিক্ষার্থীদের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ করার অনুমতি দিয়েছে।
advertisement
সম্প্রতি বোর্ডের নজরে এসেছে যে কিছু শিক্ষার্থী এখনও তাদের নির্দিষ্ট স্কুলের স্থানে এসে উপস্থিত হতে পারেনি। অর্থাৎ তারা যে শহরের স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, সে এলাকা ছেড়ে তারা অন্য কোথাও বসবাস করছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়তে পারে। সেই কারণেই সিবিএসই-র এই সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে যে, বোর্ডের তরফে শিক্ষার্থীদের জন্য খুব শীঘ্রই নতুন উইন্ডো খোলা হবে। যদিও বা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়নি।
এবারের বার্ষিক পরীক্ষায় মোট ৯০ মিনিটের সময় দেওয়া হবে। সিবিএসই তরফেই প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে এবং মার্কিং স্কিম সহ স্কুলে পাঠানো হবে। পরীক্ষা পরিচালিত হবে বহিরাগত কেন্দ্রের সুপারিনটেনডেন্ট এবং সিবিএসই দ্বারা নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে। প্রথম এবং দ্বিতীয় টার্মের নম্বর শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত স্কোরের জন্য রাখা হবে। টার্ম -১ নভেম্বর-ডিসেম্বরে এবং টার্ম -২ মার্চ-এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সিবিএসই-র প্রথম টার্মের ডেট শিট প্রকাশিত হবে আজ, জানুন বিস্তারিত
চূড়ান্ত ফলাফলে, ব্যবহারিক বা অভ্যন্তরীণ ভিত্তিতে ৫০% নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। দশম শ্রেণীর জন্য তিনটি পিরিয়ডিক টেস্ট, স্টুডেন্ট এনরিচমেন্ট, পোর্টফোলিও এবং প্র্যাকটিক্যাল ওয়ার্ক ইত্যাদি নানা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দ্বাদশ শ্রেণির জন্য অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে প্রতিটি বিষয়ের শেষে ইউনিট টেস্ট, এক্সপ্লোরাটরি অ্যাকটিভিটি, প্র্যাকটিক্যাল এবং প্রজেক্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে।