আরও পড়ুনঃ ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল! কারণ জানতে রেজিস্ট্রারকে চিঠি
সেই নথি ও প্রকাশ্য এনেছিলেন উপাচার্য সোমা বন্দোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই উচ্চ শিক্ষা দফতরের অবশ্য সেই চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করছে। তবে কতগুলি কলেজের অনুমোদন বাতিল করেছে বিএড বিশ্ববিদ্যালয় সে সম্পর্কে দফতরকে জানানো হয়নি বলেই উচ্চশিক্ষা দফকরের কর্তাদের ব্যাখ্যা। উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মতে রাজ্যে বেসরকারি বিএড কলেজ হতে গেলে উচ্চশিক্ষা দফতরের “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট” এর প্রয়োজন হয়।
advertisement
এক্ষেত্রে কোন কোন কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হল সে সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয় কোন কোন কলেজের কী কী পরিকাঠামোগত বদল এর জন্য অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে সেই সম্পর্কেও নির্দিষ্টভাবে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দফতরের বলেই দাবি সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের। আর যা নিয়ে কার্যত তরজা তুঙ্গে। সোমবারই অন্তর্ভুক্তিকালীন উপাচার্য সোমার বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন গত ৩০শে জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে কলেজগুলির অনুমোদন কী কী কারণে বাতিল করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এখানে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার মনোনীত কোর্টের সদস্য মনোজিৎ মন্ডল।
তিনি বলেন “২৫৩ টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হল, সেই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত কি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল?” তাঁর আরও দাবি গত কয়েক মাস এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ও কোর্টের বৈঠক হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা কতগুলি কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এ সম্পর্কে দফতরকে জানানোর প্রয়োজন হয় না। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার ২৫৩ টি বিএড কলেজের অনুমোদন চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য সোমা বন্দোপাধ্যায়।পরিকাঠামো গত একাধিক গলদ কারণে অনুমোদন বাতিল করার পাশাপাশি একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজের বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া পর্যন্ত অভিযোগ উঠেছে। এমনটাও জানান উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত বেসরকারি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়