TRENDING:

Bihar Engineering College shutdown| ভর্তির টাকা নেই গরুদান করলেই চলবে! বন্ধ হল বিহারের এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

Last Updated:

Bihar Engineering College shutdown| প্রশ্নের মুখে পড়ছে অন্তত ৩০০ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের জন্য অর্থ দিতে না পারলে গরু দান করলেও চলত। পাঁচটি গরু দিতে হতো। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর ৫ কোটি  ৯০ লক্ষ টাকার বকেয়া রয়েছে এই কলেজে। এই কারণেই আপাতত ঝাঁপ বন্ধ করতে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। সেই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়ছে অন্তত ৩০০ ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত।
বিহারের এই কলেজে টাকার পরিবর্তে গরু দিলেও চলত।
বিহারের এই কলেজে টাকার পরিবর্তে গরু দিলেও চলত।
advertisement

কলেজ কর্তৃপক্ষের একজন এসকে সিং বলেন ২০১০ সালে ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা পেয়েছিল এই সংস্থা। ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার পাটনা কর্পোরেট ব্রাঞ্চ থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। এর পরে পরেই ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয় ঋণ হিসেবে। কিন্তু ব্যাঙ্ক কখনও এই ঋণ দেয়নি। উল্টে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে ১৫ কোটি টাকা নিয়ে রেখেছিল।

advertisement

সংবাদ সংস্থাকে এসকে সিং জানান, অপর্যাপ্ত অর্থ ব্যবস্থার কারণে এই অবস্থা। তাঁর কথায়, যেহেতু ১০ কোটি টাকার টপ-আপ লোন কখনোই দেওয়া হয়নি। তাই কলেজ প্রথম দিক থেকেই  ক্ষতিতে চলছিল। চার কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রাথমিক ভাবে অনুমোদিত হওয়ায় ২০১২ সাল পর্যন্ত ইএমআই দিয়ে গিয়েছে সংস্থা। এমনকি কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে ২০১৩ সালেও।

advertisement

আরও পড়ুন-কাশ্মীর-শারজা উড়ানকে আকাশসীমা ছাড়বে না পাকিস্তান, ক্ষোভে ফুঁসছে উপত্যকা...

অন্য দিকে বক্সার জেলার ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তৎকালীন ম্যানেজার রবীন্দ্রপ্রসাদ জানাচ্ছেন, প্রজেক্টটিতে যে যে প্রতিশ্রুতি ছিল তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। সেই কারণেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যাঙ্কের তরফের দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন-ইভিএম-এই পুরভোট, হিংসা অভিযোগ নিয়ে আগেভাগে সতর্ক হচ্ছে কমিশন

advertisement

উল্লেখ্য  ২০১০ সালে বক্সার জেলার আরিয়াওন গ্রামে এই কলেজটি খুলেছিলেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ এবং কিছু পেশাদার মিলে। এর মধ্যে দুজন ডিআরডিও বিজ্ঞানী, একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, একজন ‌চিকিৎসকও ছিলেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

পার্টনার আর্যভট্ট জ্ঞান ইউনিভার্সিটির অনুমোদন ছিল এই কলেজের। খুব শিগগিরই কলেজটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বার্ষিক মোটামুটি৭২ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছিল এখানে চার বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের খরচ হিসাবে। যে ছাত্র ভর্তির ফি দিতে অক্ষম তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গরু দানের ব্যবস্থা ছিল। অন্তত ২০০ ছাত্র এই কলেজ থেকে পাশ করেছে। এর মধ্যে অন্তত কুড়িজন গরুদানের মাধ্যমে কলেজের বকেয়া মিটিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে অন্তত ২৯ জন এখনও শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারেনি। তার আগেই ঝাঁপ বন্ধ করল কলেজ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
Bihar Engineering College shutdown| ভর্তির টাকা নেই গরুদান করলেই চলবে! বন্ধ হল বিহারের এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল