২০১৪ প্রাথমিক টেট বিজ্ঞপ্তি আর টেট হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে।২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যে TET ২০১৪ নিযোগ প্রক্রিয়া থেকে নিয়োগ পেয়েছেন ১৫০০০, এমন তথ্য হাইকোর্টে দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীরা। ১৫০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের তথ্য পর্ষদ আনতে পারবে কিনা আদালত প্রথমে জানতে চায়। উত্তর না, তাই আদেশ জারি। পর্ষদ আদালতের প্রস্তাবে নিমরাজি হওয়ায় আদেশ জারি করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজে'র ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
আরও পড়ুন-বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদে নিয়োগ ইন্ডিয়ান অয়েলর, ইন্টারভিউ শনিবার
বারবার বিতর্কে পড়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বারবার প্রশ্নও তুলেছে আদালত। এবার এক মামলা থেকে দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া আর সেখান থেকেই চাকরির মামলায় জনস্বার্থ মামলার নিদান। প্রত্যক্ষ দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলে কোনও নিয়োগ মামলায় জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়না বলেই ধরে নেওয়া হয়। আর নিয়োগে জনস্বার্থ মামলার নিদান খোদ হাইকোর্ট বিচারপতি দিলে খুব সহজেই বোঝা যায় দুর্নীতি শিকড় কতটা গভীরে।২৭ অগাস্ট ২০২১ হাইকোর্টে (High Court) এক প্রাথমিক মামলার নির্দেশনামায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উত্তরদিনাজপুরের স্বদেশ দাস প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দেন ২০১৯ সালে।নিয়োগপত্র পাওয়ার ৩ দিন পর উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে ডেকে পাঠানো হয় ওই প্রাথমিক শিক্ষককে। টেট যোগ্যতামান সংক্রান্ত নথি পেশ করতে বলা হয়। ৫ টি নথি দেখাতে পারেন না ওই শিক্ষক। যে সকল নথিতে যোগ্য নির্বাচিত হয়ে প্রাথমিক শিক্ষক হয়েছেন, তাই দেখাতে ব্যর্থ হন প্রাথমিক শিক্ষক। আরও একদিন সুযোগ দেওয়া হয় টেট সংক্রান্ত নথি পেশ করার। সেই দিনও তা ডিপিএসসি সামনে দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ওই প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়। কোন কোন নথি দেখাতে পারছেন না ওই প্রাথমিক শিক্ষক তার তালিকাও নিজে লিখে দেন ডিপিএসসি-কে। এরপর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন স্বদেশ দাস।
২৭ অগাস্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে জানান, এক্ষেত্রে নিয়োগের সুপারিশকারী সংস্থা প্রাথমিক বোর্ডের নিছক ভুলের জন্য নিয়োগ পেয়েছে মামলাকারী। নিয়োগকারীর একটা ভুলে কারোর চাকরির অধিকার জন্মে যায়না। এরপরেই ঘটনার অন্য মোড় নেয় যা আরও চাঞ্চল্যকর। মামলাকারী স্বদেশ দাস হাইকোর্টে জানান তাঁর মতন ১২ জন প্রাথমিক শিক্ষকতা করছেন একই নথি নিয়ে। এই ১২ জনের নাম ঠিকানাও হাইকোর্টে পেশ হয়।বিচারপতি কিছুটা বিস্মিত হন। আর এরপর টেটের যোগ্যতামানের নথি ছাড়াই চাকরি জেনে জনস্বার্থ মামলার নিদান দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১২ জন যেহেতু সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলায় অন্তর্ভুক্ত নন তাই তাদের সম্পর্কে অভিযোগ পেয়ে জনস্বার্থ মামলার নির্দেশ দেয় সিঙ্গেল বেঞ্চ।