গত ১৬ তারিখ থেকে স্কুলে পড়ুয়ারা গেলেও জামা ও প্যান্ট হচ্ছে না। তাদের বেশীরভাগ বলছেন বর্তমানে দেহের মাপ নিয়ে জামা ও প্যান্টের মাপ দিলেও ডেলিভারি মিলবে দেরিতে। রাহুল জানা নামে এক নবম শ্রেণির ছাত্রের জামা ঠিক থাকলেও প্যান্ট নিয়ে অসুবিধা। দুই বছর আগের প্যান্ট এখন পড়লেও দেখা যাচ্ছে মোজা, আদতে ছোট প্যান্ট পড়েই অগত্যা স্কুলে আসতে রাহুলকে। দীপকেরও একই অবস্থা, তার প্যান্ট একটু ম্যানেজ করা গেলেও সমস্যা জুতো ও বেল্টের। কোমড় ও পা বড় হওয়ায় স্কুলে নেই সেই মাপের বেল্ট ও জুতো।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য বিজেপি-র সংগঠনে ফের বড় রদবদল? দিল্লিতে শাহ নাড্ডাদের দরবারে সুকান্ত
আরও পড়ুন: হঠাৎই শৈশবে ফিরে গেলেন দিলীপ ঘোষ! যে ভূমিকায় দেখা গেল, অবাক সকলে...
এদিকে টেলারিং এর দোকানের সমস্যাও অনেক। মিতেশ খান্না কলকাতার একটি নামী স্কুলের ইউনিফর্ম বানাচ্ছেন বহুবছর ধরে, তবে এই বছর স্কুলের ইউনিফর্মেই নাভিশ্বাস। আগের বছর অর্ডার না মিললেও এই বছর অর্ডারের চাপে দুই দিনের জিনিস ডেলিভারি দিচ্ছে দশ দিনে। একই অবস্থা শৈলেন দাসের। তার কথায় শুরু পড়ুয়াদের মাপ নিতে হচ্ছে দিনভর, অর্ডার ডেলিভারি কখন দেবে তা বলা সম্ভব নয়। এদিকে দ্বাদশ শ্রেণির দীপঙ্কর সাউ-য়ের বক্তব্য, ছোট প্যান্ট পড়ে স্কুলে গেলে বন্ধুদের কাছে জুটছে হাসি ও মজা। বন্ধুদের বাস্তব সমস্যার কথা বললেও ছোট প্যান্ট যেন ক্লাস রুমে আড্ডার রসদ। তবে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে অল্প সংখ্যায় পড়ুয়া আগে থেকেই জামা-প্যান্ট-জুতো কিনেছে। শুভদীপ নন্দী জানায়, তারও আগের জামা আন-ফিট হচ্ছে, তাই আগেই বানিয়ে নিয়েছে সে। তাই নতুন করে স্কুল চালু হতেই তার নতুন জামায় সুবিধা হচ্ছে।