জেলাগুলিতে প্রয়োজনে এই পরীক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে স্বচ্ছতার জন্য এবং পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিতে হবে। কোনও গাফিলতি ধরা পড়লেই বা গাফিলতির সঙ্গে যুক্তরা ধরা পড়লে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জরুরি নির্দেশিকা জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের দেওয়া হয়েছে। সোমবার প্রশ্নপত্র সকাল ১০:৪৫ মিনিট নাগাদ ভেনুগুলিতে পৌঁছয়। মঙ্গলবার সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ১১.১৫ মিনিট করা হল।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রথমদিনেই ফাঁস ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, তদন্ত কমিটি গঠন পর্ষদ সভাপতির
প্রসঙ্গত, অস্বস্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। নিয়োগ বিতর্কের পরে এবার পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ডিএলএড পরীক্ষা। পরীক্ষার প্রথম দিনেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ডিএলএড পাঠক্রমের মাধ্যমে। দু-বছরের কোর্সের চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হয়। এ বার পর্ষদের নজরদারিতেই হচ্ছে এই ডিএলএড পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই ফাঁস প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: নজরে দু’দিনের সুন্দরবন সফর, জেলা নিয়ে বিশেষ ঘোষণা আজ? জল্পনা প্রশাসনিক মহলে
পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়েই পরীক্ষার্থীদের অনেকে জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু এক। কী ভাবে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরাও। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছতার স্বার্থে আবার নেওয়া হোক পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, "সংবাদমাধ্যমে কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু কোনও অফিসিয়াল অভিযোগ পাইনি। থানা থেকে প্রশ্ন পাওয়ার কথা ছিল সাড়ে ১০টা নাগাদ। MCQ এবং ২ নম্বরের প্রশ্ন কোনও ভাবে বাইরে এসেছে। প্রশ্নফাঁসের পিছনে অবশ্য ব্যক্তি বিশেষের বিশ্বাসঘাতকতাকেই দায়ী করেছেন গৌতমবাবু। আর এর ঠিক পরপরই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল পর্ষদের তরফে।