৩১২- র মধ্যে রসায়নে ১১০, পদার্থ বিদ্যায় ৯৯, অঙ্কে ১০৩ পেয়েছে দেবদত্তা। আর এতেই খুশির জোয়ার গোটা জেলায়। আনন্দে আপ্লুত তার গ্রামের বাড়ির সদস্যরা। পুরুলিয়ার আড়শা ব্লকের জামবাদ গ্রামে আদি বাড়ি দেবদত্তার। কৃতী ছাত্রীর বাবা জয়ন্ত মাঝি ও মা শেলি দাঁ কর্মসূত্রে বর্ধমানের কাটোয়াতে থাকেন। মেয়ের এই সাফল্যে খুবই খুশি দেবদত্তা মাঝির মা শেলি দাঁ। তিনি বলেন , খুবই কঠিন একটি পরীক্ষা ছিল এটি। দেবদত্তা কঠোর পরিশ্রম করে এই সাফল্য পেয়েছে।
advertisement
বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেও এত দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছে তার মেয়ে। এতে তার ভীষণই ভালো লাগছে। প্রথম দিকে আইআইটি পড়ার স্বপ্ন থাকলেও, জয়েন্টের রেজাল্ট বদল করেছেন দেবদত্তা। তিনি বলেন, আগামী দিনে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে (IISC) ম্যাথ এন্ড কম্পিউটিং-র উপর বিটেক করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং রোবোটিক্স উপর গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে তার। দেবদত্তা ছোট থেকেই ভীষণ মেধাবী। ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম।
উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ। জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) প্রথম সেশনে রাজ্যের প্রথম, জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেন) দ্বিতীয় সেশনে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রথম, তারপর জয়েন্ট (আ্যডভ্যান্স) পরীক্ষায় আবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রথম হলেন দেবদত্তা। এই সোনার মেয়ের সাফল্যের গর্বিত গোটা বাংলা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি