আরও পড়ুন- রাত ১০টার পরে ট্রেন যাত্রায় আর নয় ‘লাউড মিউজিক’, বলা যাবে না উচ্চস্বরে কথাও
স্কুল (Schools in Lockdown) কেন খুলতেই হবে তার পক্ষে তিনটি যুক্তি দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এক, শেখাতে ভীষণ ফাঁকি পড়ে যাচ্ছে শিশুদের। যা শিখেছিল, যেটুকুও পড়তে পারত, তাতে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় শেখাটুকু ভুলেই গিয়েছে অনেকে। অনেক পড়ুয়ার ক্ষেত্রেই অঙ্ক শেখার এক ভয়ঙ্কর ভীতিও তৈরি হচ্ছে স্কুলে না যেতে যেতে।
advertisement
দুই, দারিদ্র দূরীকরণে শিক্ষা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। যে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না তারা এই দারিদ্রের চক্রব্যুহ থেকে না তো নিজেরা আর বেরা হতে পারবে , না তো তাদের আগামী প্রজন্ম বার হতে পারবে।
তিন, একটা গোটা প্রজন্মের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে স্কুল বন্ধ থাকাটা। এটা মানাই যায় না যে বার খোলা, রেস্তরাঁ খোলা, জিম খোলা, কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বাচ্চাদের এক্ষুণি স্কুলে পাঠানো উচিত।
আরও পড়ুন- ৫০ বছর পর নেভানো হচ্ছে ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতি!
ইউনিসেফের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সী পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ৭৬ শতাংশ এবং ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ৮০ শতাংশই মনে করেছেন, এই লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় তাদের সন্তানরা লেখাপড়া থেকে প্রভূত পরিমাণে পিছিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বাড়িতে বা কোথাও ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনটুকুও নেই যে অনলাইন ক্লাস করা যাবে, এমন শিশুর সংখ্যা অনেক।
ইউনেসকো এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিলিত একটি সমীক্ষায় ইউনিসেফ দেখিয়েছে, এই করোনা অতিমারির প্রভাবে দু'বছর পড়াশোনা বন্ধ থাকায় অদূর ভবিষ্যতেই এই প্রজন্মের পড়ুয়াদের উপার্জনে কতটা ক্ষতি হতে পারে। চাকরি ও উপার্জনক্ষেত্রে অন্তত ১৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে শুধু স্কুলে না যাওয়াতে!