শিক্ষা সংসদের নির্দেশে বলা হয়েছে, শহরের যেসব প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চলছে, সেগুলিতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে মিড ডে মিল চলাকালীন পড়ুয়াদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় বাড়তি নজর দিতে হবে। ওই সময়ে যেন স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
advertisement
সাপের গ্রাম! দেশে এমনটি আর কোথাও নেই…মানুষের পাশে কিলবিল করছে ‘প্রতিবেশী’ সাপ! কোথায় জানেন?
সূত্রের খবর, এসআই (School Inspector)-দের মাধ্যমে এই মৌখিক নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন স্কুলে। ইতিমধ্যেই বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই বার্তা পেয়েছেন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলে সচেতনতামূলক প্রচার কর্মসূচি চালু করতে হবে—যাতে পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যেও করোনা নিয়ে সতর্কতা তৈরি হয়।
এদিকে, করোনা সংক্রমণে রাজ্যে এদিন প্রথম মৃত্যুর খবরও মিলেছে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ বছর বয়সী এক মহিলার। হৃদযন্ত্র এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়, এবং কোভিড পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে করোনার উপসর্গের ধরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। গলা বসে যাওয়া, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, পেটব্যথা, জ্বর, ডায়ারিয়া—এই ধরনের উপসর্গই এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেকেই জল পায়খানা বা পেটের গোলমালের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, পরে পরীক্ষা করে কোভিড ধরা পড়ছে।
পরিস্থিতি এখনও জটিল না হলেও, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি নজর প্রয়োজন। তাই আগেভাগেই স্কুলগুলিকে সতর্ক করল প্রশাসন।